তানজানিয়ার কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের দশক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
চব্বিশ বছর বয়সী কাও সিও ইউ হচ্ছে চেচিয়াং নোর্মাল ইউনিভার্সিটি’র আন্তর্জাতিক চীনা শিক্ষা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি এবং অন্য ১৩ জন সহকর্মী একসঙ্গে তানজানিয়ায় ফিরে যান এবং এক বছর ধরে দার এস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের একজন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন।
চারটি ক্লাসের চীনা ভাষার ঐচ্ছিক কোর্সের শিক্ষকতা নিয়ে কাও সিও ইউ বলেন, “প্রথমদিকে আমি একটু নার্ভাস হতাম। চারটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়া খুব ভারী একটি কাজ।”
তবে চীনা ভাষা শেখার প্রতি স্থানীয় যুবকদের উৎসাহ ও আগ্রহ দেখে তিনি অচিরেই খুব অনুপ্রাণিত বোধ করেন। তিনি এই আফ্রিকান তরুণদের সাহায্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করার আশা করেন।
চাং সিও চেন দার এস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠার পর থেকে চীন পক্ষের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে দার এস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটটি দার এস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়, চীন আন্তর্জাতিক চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ এডুকেশন ফাউন্ডেশন এবং চেচিয়াং নোর্মাল ইউনিভার্সিটি’র উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। গত দশ বছরে চীন থেকে একশ’ জনেরও বেশি শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবক তানজানিয়ায় এসেছেন।
হামিদা সিফ আলাউই হচ্ছেন দার এস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা গবেষণা বিভাগের একজন ছাত্রী। তিনি বলেন, আমি চীনা ভাষা পছন্দ করি এবং এটি আমার কাছে জীবনের অগ্রগতি অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি। ২০১৯ সালে তিনি সফলভাবে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বৃত্তির আবেদন করেন এবং চেচিয়াং নোর্মাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন করার সুযোগ পান। তিনি এটিকে তার জীবনের ‘হাইলাইটের মতো মুহূর্ত’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।