স্বল্প বাজেটের চলচ্চিত্র নির্মাণে গুরুত্বারোপ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিনেত্রী ও প্রযোজক লিয়াং চিং এবং পরিচালক কুয়েন হু’র যৌথ সমর্থনে বেশ কয়েকটি উচ্চ গুণগত মানের স্বল্প ও মধ্যম বাজেটের চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। তারা তরুণ এবং নতুন পরিচালকদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করতে চান।
লিয়াং চিং স্বীকার করেন, ‘যখন আমি প্রথমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রবেশ করেছি, তখন অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি; তাই আমি তরুণদের অসুবিধাগুলো ভালভাবে জানি। তাদের নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর বড় বাজার থাকবে না জেনেও আমি তরুণদের প্রতিভা এবং স্বপ্নকে সমর্থন করতে ইচ্ছুক।’
লিয়াং চিংয়ের কাছে সবচেয়ে গৌরবের বিষয় হলো তার প্রযোজনায় নির্মিত ‘রিমেইন্ডার’ মুভিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং মুভিটি গত ১২ জুন মুক্তি পেয়েছে।
এ সিনেমাটিতে চলচ্চিত্র পরিচালক না চিয়া চুও এ শতাব্দীর শুরুতে চীনের সিছুয়ান প্রদেশ ও ছোংছিং শহরে একদল তরুণ-তরুণীদের বড় হওয়ার প্রক্রিয়ায় দৃষ্টিপাত করেন। মুভিটিতে পরিচালকের নিজের অভিজ্ঞতারও প্রতিফলন হয়েছে।
২০০৬ সালে ‘ক্রেজি স্টোন’ মুভিটি মাত্র ৩৫ লাখ ইউয়ান ব্যয়ে নির্মিত হয়। তবে এটি ২ কোটি ৩৫ লাখ ইউয়ান আয় করেছে। তারপর স্বল্প এবং মধ্যম বাজেটের চলচ্চিত্রগুলো চীনা চলচ্চিত্র বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে, যা উপেক্ষা করা যায় না।
বিখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক সুই চেং বলেন, ‘তাদের নিজেদের চলচ্চিত্র বা টিভি সিরিজের মূল্যায়নের দল আছে। চিত্রনাট্য বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব মানদণ্ড আছে। তাতে প্রধান চরিত্র দর্শকদের মুগ্ধ করতে পারছে কিনা বা তার ভাগ্য দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পারছে কিনা - তা বিবেচনা করা হয়।’
তিনি মনে করেন, সীমিত বিনিয়োগের প্রেক্ষাপটে নির্মাতারা অন্যান্য দিকগুলোতে ফোকাস করতে পারেন। যেমন: রচনা এবং পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ তা আরও ভালো ফলাফল বয়ে আনবে।
একই সময়ে তিনি তরুণ অভিনেতাদের প্রবীণদের সাথে সহযোগিতা করতে ভয় না পেতে উত্সাহিত করেছেন। তার মতে, অভিনয়, লেখা, চিত্রগ্রহণ বা নির্মাণে আন্তরিকতাই যথেষ্ট। সৃষ্টির মধ্যে থাকা পার্থক্য এবং বিরোধ মিটানো সহজ। আসলে আলোচনার পর সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি উপায় বের হয়।
বাজারে চাহিদার পরিবর্তন বা দর্শকদের সিনেমা দেখার ইচ্ছা পরিবর্তন হলেও নির্মাতাদের জন্য সৃষ্টিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চলচ্চিত্রের প্রতি ভালবাসার উপর জোর দিতে এবং ভাল গল্প, চরিত্র এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। শুধুমাত্র এভাবেই দর্শকদের সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।