স্বল্প বাজেটের চলচ্চিত্র নির্মাণে গুরুত্বারোপ
এসব স্টাইল স্বল্প ও মধ্যম বাজেটের ফিল্মগুলোকে অন্যান্য সিনেমা থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করেছে। ফলে অনেক দর্শক ফিল্মগুলো দেখে অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন।
ফোরামে অংশগ্রহণকারীদের মতে, স্বল্প ও মধ্যম বাজেটের ফিল্মগুলোর সৃজনশীল উন্নয়ন এগিয়ে নিতে প্রযোজনা, নির্মাণ এবং প্রচারণাসহ নানা কাজের সমন্বয় করা প্রয়োজন।
তরুণ এক পরিচালকের সঙ্গে স্বল্প ও মধ্যম বাজেটের মুভি তৈরির অভিজ্ঞতা নিয়ে বিখ্যাত পরিচালক সুই চেং বলেন, ‘আমি তরুণ নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এবং তাদের চিন্তাধারা জানতে ইচ্ছুক। আমি মনে করি, এটি আমার সৃষ্টির অভ্যাস ভেঙ্গে দিতে এবং নতুন বিষয় সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।’
চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘উইকেন্ড ফিল্ম’ সম্প্রতি একটি আলোচিত বিষয় হয়ে ওঠেছে। চীনের জাতীয় চলচ্চিত্র প্রশাসনের নির্বাহী উপ-পরিচালক মাও ইয়ু মনে করেন, চীন দেশব্যাপী একটি একীভূত, উন্মুক্ত, প্রতিযোগিতামূলক এবং সুশৃঙ্খল ফিল্ম মার্কেট কাঠামো নির্মাণ করেছে। চীন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক থিয়েটার এবং পর্দার অধিকারী দেশ হয়ে ওঠেছে। তবে ৭০ হাজারেরও বেশি স্ক্রিনে প্রদর্শনের জন্য নির্মিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা এখনও সীমিত, বাজারে সরবরাহ প্রায় একই রকম রয়েছে।
সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে একই চলচ্চিত্র দেখানো হচ্ছে। ‘উইকেন্ড ফিল্মের’ ধারণা হলো উইকেন্ডে মুক্তি পেতে আরও মজাদার ও আকর্ষণীয় ফিল্মকে উৎসাহিত করা।
ইন হোং মনে করেন, ‘উইকেন্ড ফিল্মের’ মূল হলো পর্যাপ্ত উচ্চমানের সিনেমা সরবরাহ করা। দর্শকরা যখন প্রতিসপ্তাহে সিনেমা দেখার অভ্যাস গড়ে তুলবে এবং সাপ্তাহিক ছুটিতে প্রেক্ষাগৃহে ভিন্ন ভিন্ন সিনেমা দেখতে পারবে, তখন সিনেমার একটা ভালো বাজার তৈরি হতে পারবে।’
স্বল্প ও মধ্যম বাজেটের মুভি বলতে কেবল বাজেটের ওপর নির্ভরশীল নয়। এসব চলচ্চিত্রের মধ্যে খাঁটি বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র এবং আর্ট ফিল্মও থাকতে পারে।