চীনের বৃত্তিমূলক শিক্ষা রুয়ান্ডার শিল্পের চাহিদা পূরণ করছে
নামাহারউই জ্যঁ নেপো হচ্ছেন লুবান ওয়ার্কশপের একজন শিক্ষার্থী। তার মতে, চাইনিজ কোর্স বা তাদের জন্য তৈরি করা প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম, যাই হোক না কেন, সবকিছু তাদের দক্ষতা উন্নত করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দিগন্ত প্রসারিত করেছে।
তিনি বলেন,
“রুয়ান্ডার লুবান ওয়ার্কশপের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের ফলে আমার প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নত হয়েছে এবং ভবিষ্যত উন্নয়নের একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। এটি কর্মক্ষেত্রে আমার প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং আমার কর্মজীবনের বিকাশকে আরও মসৃণ করেছে। এই সেমিস্টার শেষে আমরা জিনহুয়া পলিটেকনিক কলেজে অধ্যয়ন করতে চীনে যাবো। এটি আমার ও আমার সহপাঠীদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। আমি বিশ্বাস করি, এই যাত্রাটিও আমার জীবনের একটি টার্নিং পয়েন্ট হবে!”
প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী শিক্ষাদানের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা ছাড়াও ‘শিক্ষাদানের পদ্ধতি সৃজনশীল করা’ হলো রুয়ান্ডার লুবান ওয়ার্কশপের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় এ ওয়ার্কশপ ‘চীনা ই-কমার্সের অভিজ্ঞতা লাভ করা’ এবং ‘চীনা ভাষার সেতু’সহ অনলাইনে কয়েকটি আদান-প্রদান প্রকল্প চালু করে। এলি এনদাইয়ামবাজে হচ্ছেন এসব অনলাইন কোর্সের অনুরাগী। নিজের ই-কর্মাস স্বপ্ন পূরণে তিনি সবসময়ই সময়মতো অনলাইন ক্লাসে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করতেন এবং শিক্ষকের সঙ্গে সক্রিয় আদান-প্রদান করতেন। তিনি বলেন,
“অনলাইনে এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমি ই-কর্মাসের অনেক জ্ঞান অর্জন করেছি। চীনের ই-কর্মাস সংস্কৃতি প্রসঙ্গে আমার জানাশোনা গভীর হয়েছে এবং চীনা ভাষার মানও বেড়েছে। ভবিষ্যতে আমি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান গড়তে চাই।”
রুয়ান্ডার লুবান ওয়ার্কশপের উপপ্রধান এসড্রাস এনশিমিয়ুমুরেমিয়ি বলেন, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় শিক্ষক উভয়ই লুবান ওয়ার্কশপের প্রশিক্ষণ থেকে অনেক কিছু শিখেছে। ফলে স্কুলে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের স্তরকে উন্নত করা সম্ভব হবে।