বাংলা

চীনের মানববাহী মহাকাশ কর্মসূচির উপ-প্রধান নকশাকার ও চীনের প্রথম মহাকাশচারী ইয়াং লি উই

CMGPublished: 2023-10-26 10:00:47
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

প্রকৃতপক্ষে আজকের মহাকাশচারীরা মহাকাশে থাকাকালীন যে কোনও সময় পৃথিবীর সঙ্গে ভিডিওর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তারা তাদের পরিবারের সাথে ফোনে কথাও বলতে পারেন। ইয়াং লিওয়েই বলেন: “এখন মহাকাশচারীরা মহাকাশে টিভিও দেখতে পারেন এবং পৃথিবীও মহাকাশচারীদের চাহিদা অনুসারে প্রোগ্রাম পাঠাতে পারে। এমনকি মহাকাশচারীরা পৃথিবীতে অবস্থিত কর্মীদের সঙ্গে একযোগে বসন্ত উত্সব গালা এবং হাংচৌ এশিয়ান গেমসের মতো বিভিন্ন প্রতিযোগিতা দেখতে পারেন।”

বর্তমানে চীনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফার মহাকাশচারীরা আকাশে উড়ে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। শেনচৌ মহাকাশযানের ফ্লাইট ক্রুর মধ্যে রয়েছেন তৃতীয় দফার মহাকাশচারী। এখন রিজার্ভ মহাকাশচারীদের চতুর্থ ব্যাচের নির্বাচনের প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। মোট এক শ’জনেরও বেশি প্রার্থী পুনঃনির্বাচনের পর্যায়ে প্রবেশ করেছেন, যাদের মধ্যে হংকং ও ম্যাকাও থেকে আসা ব্যক্তির সংখ্যা দশের বেশি।

ইয়াং লিওয়ই বলেন, “চাইনিজ স্পেস স্টেশনটি কেবল আমাদের দেশের মহাকাশ পরীক্ষার প্ল্যাটফর্ম নয়, পুরো মানবসমাজকেও সেবা করতে সক্ষম এটি। তিনি বলেন: “আমি মনে করি, অদূর ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশের মহাকাশচারীরা আমাদের মহাকাশ স্টেশনে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে।”

চীনা মহাকাশ স্টেশনের সমাপ্তির সাথে সাথে চীনা মহাকাশচারীরা ৩ লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরে রহস্যময় চাঁদের প্রাসাদে তাদের মনোযোগ দিয়েছেন। ইয়াং লিওয়েই বলেন: “বর্তমানে চীনের মনুষ্যচালিত চন্দ্র-অন্বেষণ প্রকল্পের চন্দ্র-অবতরণ পর্বের মিশন সম্পূর্ণরূপে শুরু হয়েছে। নতুন প্রজন্মের মানববাহী মহাকাশযান এবং নতুন প্রজন্মের মানববাহী রকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

সাক্ষাত্কারে সংবাদদাতা জিজ্ঞাস করেন, “পরবর্তীতে আপনি কি আবার মহাকাশে উড়ে যাবেন?”

উত্তরে ইয়াং লিওয়েই বলেন, “গত ২০ বছরে, অগণিত মানুষ আমাকে এই প্রশ্নটি করেছেন এবং আমার কাছে কেবল একটি উত্তরই আছে: মাতৃভূমির ডাকে সাড়া দিতে সর্বদা প্রস্তুত। মহাকাশে উড়ে যাওয়া আমাদের সকল মহাকাশচারীর অবিচল মূল লক্ষ্য।”

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn