চীনের মানববাহী মহাকাশ কর্মসূচির উপ-প্রধান নকশাকার ও চীনের প্রথম মহাকাশচারী ইয়াং লি উই
লং মার্চ রকেটটি শেনচৌ মহাকাশযান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মুহুর্তে নিজের চোখের সামনের দৃশ্যটিকে স্পষ্টভাবে মনে রেখেছেন তিনি। সেই সময় তার শরীর সিটে বাঁধা থাকলেও, মনে হয় সেটি সিট থেকে উড়ে যায়। তিনি বলেন, “যে মুহূর্তে আমি ওজনহীনতা অনুভব করি, আমি বুঝতে পারি যে, আমি তখন মহাকাশে।”
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “বিশাল মহাকাশ ও সুন্দর পৃথিবী যেখানে আমরা বাস করি, সেই মুহূর্তে আমি চীনা জনগণের জন্য গভীরভাবে গর্বিত বোধ করি।”
এক জনের একদিন থেকে একাধিক জনের একাধিক দিন পর্যন্ত, মহাকাশ গবেষণাগার থেকে স্পেস স্টেশনের সমাপ্তি পর্যন্ত, গত ২০ বছরে চীনের মানববাহী মহাকাশ শিল্প স্থল ও আকাশের মধ্যে যাতায়াত এবং মিলনস্থল ও ডকিংসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে সাফল্য অর্জন করেছে, ‘তিন-পদক্ষেপ’ কৌশলগত মিশন সম্পন্ন করেছে এবং বিশাল মহাকাশে চীনা জনগণের নিজস্ব ‘স্পেস হোম’ তৈরি করেছে।
ইয়াং লিওয়েই বলেন, “আরও বেশি কমরেডদের আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখে এবং থিয়েনকোংয়ে কমরেডদের মিলিত দেখে আমি খুব আনন্দিত এবং সবসময় তাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত।”
সর্বপ্রথমে একদিন থেকে বর্তমানে আধা বছর পর্যন্ত, সর্বপ্রথমে একজন থেকে বর্তমানে ৬ জন মহাকাশচারীর একই সঙ্গে মহাকাশে কাজ করা পর্যন্ত, সর্বপ্রথমে মাত্র ৬ বর্গমিটারের স্পেস স্টেশন থেকে বর্তমানে ১১০ বর্গমিটার পর্যন্ত, সর্বপ্রথমে খাবার, পানীয় জল ও অক্সিজেন পৃথিবী থেকে আকাশে নিয়ে যাওয়া থেকে বর্তমানে স্টেস স্টেশনের অক্সিজেন শতভাগ পুনঃউৎপাদন পর্যন্ত, বিগত ২০ বছরে ইয়াং লিওয়েইয়ের নিজের অনুভব করা বিশাল পরিবর্তন অসংখ্য বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, “যখন শেনচৌ ৫ মহাকাশযান উড়েছিল, তখন আমাদের পরিমাপ ও নিয়ন্ত্রণ কভারেজ ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ, পৃথিবী প্রদক্ষিণে মহাকাশযানটির ৯০ মিনিট সময় লেগেছিল। এর মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিটে মাটির সাথে যোগাযোগ করতে পারতাম।” তিনি একটি উদাহরণ হিসেবে বলেন, এখন রিলে স্যাটেলাইট ব্যবহার করার পর পরিমাপ ও নিয়ন্ত্রণের কভারেজের হার ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, মহাকাশ শিক্ষাদানে পরিমাপ ও নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তির উন্নয়নের সাহায্যে আমরা টানা ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে স্বর্গ ও পৃথিবীর মধ্যে কোনও বাধা ছাড়াই ভয়েস ও চিত্র প্রেরণ করতে পারি।”