চীনে অধ্যয়নরত রাশিয়ান শিক্ষার্থী অ্যালেক্সান্দারের গল্প
২০১৯ সালে অ্যালেক্সান্দার চীনে অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নেন। আরও গভীরভাবে চীনের ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানার জন্য তিনি প্রাচীন রাজধানী সি’আনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে লেখাপড়া করতে মনস্থির করেন।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তির জন্য কয়েক মাস ধরে অপেক্ষা করার সময় অ্যালেক্সান্দার আবার চীন ভ্রমণ করেন। এবার চীন সম্পর্কে তার উপলব্ধি আরও গভীর হয়। তিনি বলেন,
“আমি চীনের অনেক জায়গায় গিয়েছি। যেমন, তিব্বতি জাতি, হুই জাতি, তোং জাতিসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতি-অধ্যুষিত এলাকা।”
চীনে অধ্যয়নের জন্য আসার পর অ্যালেক্সান্দার চীনা সংস্কৃতি জানার আরও বেশি সুযোগ পান। তিনি মনে করেন, চীনা অভিব্যক্তি কেবল একটি ভাষা ও সংস্কৃতি নয়, বরং জীবনের একটি শিল্পও। তিনি বলেন,
“একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, চীনা ভাষায় ‘আপনি কি খেয়েছেন?’ আসলে এ বাক্য দিয়ে কেউ আপনাকে জিজ্ঞাসা করছেন না, আপনি খেয়েছেন কিনা। এটি একটি অভিবাদন এবং আপনার প্রতি তার যত্নের প্রকাশ। আমার মতে, চীনের সংস্কৃতিতে খাদ্য সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
অ্যালেক্সান্দার বিশ্বাস করেন, আপনি যদি আজকের চীনকে আরও ভালোভাবে বুঝতে চান তবে শুধু দৈনন্দিন জীবন, খাদ্য, পোশাক, বাসস্থান ও পরিবহন দিয়ে সেটা সম্ভব নয়; আপনাকে দীর্ঘস্থায়ী চীনা সভ্যতাকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তাই তিনি প্রচুর চীনা সিনেমা এবং ও নাটক দেখেন।
“আমি যখন সেন্ট পিটার্সবার্গে ছিলাম, তখন একটি থিয়েটারে একটি চাইনিজ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। টানা সাত দিন ধরে প্রতিদিন বিভিন্ন চাইনিজ ফিল্ম দেখানো হয়। আগে থেকেই সেখানে অর্ডার করতে হয়। কারণ সেখানে প্রচুর ভিড় ছিল। সেই সময় আমি ‘ইন দ্য মুড ফর লাভ’, ‘হোমকামিং’ এবং ‘রেড সোর্গাম’ দেখি। রাশিয়ান সাংস্কৃতিক টিভি স্টেশনে চীনা টিভি নাটকও সম্প্রচার করা হয়, যা আমার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরাও দেখে থাকেন। চীনে আসার পর, আমি প্রায়ই সিনেমা দেখি। আমাদের বিদেশিদের জন্য চীনা ইতিহাস বোঝার একটি ভালো সুযোগ হলো টিভি সিরিজ বা মুভি দেখা।”