অ্যাবার্ডিন মত্স্য গ্রামের স্মৃতি
ছেন চি হাওয়ের দাদার প্রজন্মের মানুষেরা মাছ ধরতে সমুদ্রে যেতেন, বাবার প্রজন্মের মানুষেরা মাছ বিক্রি করতেন এবং ছেন চি হাও দাদা ও বাবার হাত থেকে মাছ ধরার ব্যবসাকে সামনে এগিয়ে নিয়েছেন। তার পরিবারের তিন প্রজন্মের মানুষ মত্স্য শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ প্রত্যক্ষ করেছেন।
গত শতাব্দীর ৫০ ও ৬০’র দশকে মাছ ধরা হতো মূলত হাতেটানা জালের সাহায্যে। একবিংশ শতাব্দীতে আসে উচ্চ প্রযুক্তির স্মার্ট মাছ ধরার পদ্ধতি। এ ব্যাপারে ছেন চি হাও বলেন, “মাছ ধরার পদ্ধতির পরিবর্তনে প্রথাগত শিল্পগুলোতে প্রযুক্তির পরিবর্তন প্রতিফলিত হয়।”
ছোটবেলায় মা-বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে সমুদ্রে যাওয়ার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তখন মাছ ধরা ছিল শ্রমঘন শিল্প; জাল ফেলা, জাল সংগ্রহ এবং বাছাই করাসহ নানা কাজ করতে একাধিক লোকের একসঙ্গে সহযোগিতা করার প্রয়োজন হতো।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি মৎস্য শিকারকে আরও স্বয়ংক্রিয় করে তুলেছে। মনুষ্যবিহীন মাছ ধরার নৌকা, রোবটের মাধ্যমে জাল সংগ্রহ ও মাছ বাছাই এবং মাছের অবস্থানের জায়গা অত্যন্ত নির্ভুলভাবে পূর্বাভাস করার ব্যবস্থাসহ উন্নত প্রযুক্তি মাছ ধরাকে সহজ ও কম জনবল-ঘন করে তুলেছে।
ছেন চি হাও বলেন, “আমার ছেলেবেলায় আমার পরিবার যখন সমুদ্রে মাছ শিকারে যেত, আমার মা তার কান দিয়ে সমুদ্রে মাছের গতিবিধি উপলব্ধি করার মাধ্যমে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করতেন। এখন আমরা মাছ শনাক্ত করার যন্ত্র ব্যবহার করি। অনেক দূর থেকে মাছ, চিংড়ি ও কাঁকড়ার ধরন এবং সঠিক অবস্থান জানতে পারি এবং তারপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন উপায়ে তাদের ধরতে পারি। খুব সহজ হয়ে গেছে।”
১৯৯০ সালের কাছাকাছি সময় ছেন চি হাওয়ের বাবা অবসর গ্রহণ করেন এবং তিনি বাবার দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করার পাশাপাশি সীফুড ব্যবসাও শুরু করেন।
তিনি বলেন, “হংকং ও মূল ভূখণ্ডের মধ্যে সীফুডের ক্রমবর্ধমান আমদানি ও রপ্তানি হংকংয়ের মৎস্য চাষের পতন রোধ করেছে। হংকংয়ে কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব রয়েছে এবং মৎস্য শ্রমিকেরও ঘাটতি রয়েছে। এ ব্যাপারে মূল ভূখণ্ড ব্যাপক সহায়তা দিয়েছে।”