অ্যাবার্ডিন মত্স্য গ্রামের স্মৃতি
অ্যাবার্ডিন হচ্ছে চীনের হংকংয়ের দক্ষিণাঞ্চলের কেন্দ্রীয় এলাকা। অ্যাবার্ডিনের ডসমুদ্রতীরবর্তী পার্কে একটি ফিশারম্যান কালচার মিউজিয়াম আছে। এই জাদুঘরটি খুব বড় না হলেও দেয়ালে ঝুলানো পুরানো ছবিতে দেখা যায়, অ্যাবার্ডিনের মৎস্য বন্দরে সারিবদ্ধ মাছ ধরার নৌকা। এসব নৌকা এবং জলের পরিবারের জীবনের দৃশ্যগুলো অতীতে মৎস্য গ্রামের চিহ্ন রেখে গেছে।
অ্যাবার্ডিনের মৎস্য গ্রাম চতুর্দশ শতাব্দীতে গড়ে ওঠে এবং এটি অতীতে হংকংয়ের চারটি বড় মৎস্য গ্রামের মধ্যে প্রথম ছিল। গত শতাব্দীর ৭০’র দশকে এখানে জেলেদের জনসংখ্যা ৫০ হাজারে পৌঁছেছিল। সে সময় কাঠ দিয়ে তৈরি নৌকা শুধু জেলেদের জীবিকা নির্বাহের হাতিয়ারই ছিল না, পুরো পরিবারের আশ্রয়ও ছিল।
ফিশারম্যান কালচার মিউজিয়ামের কিউরেটর পোং চিয়ে লিং বলেন, “বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত হাজার হাজার জেলে সমুদ্রে নৌকায় বাস করতেন। এখন তাদের নৌকাগুলো ইয়ট ও ট্রলারে পরিণত হয়েছে।”
তিনি এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে হংকংয়ের সেই সময়কার মৎস্য শিল্পের সবচেয়ে উজ্জ্বল যুগ এবং সমুদ্রে জেলেদের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে চান।
তেষট্টি বছর বয়সী ছেন চি হাও একই আশা পোষণ করেন। তিনি হংকংয়ের একজন বাসিন্দা। তার ছেলেবেলা কেটেছে মাছ ধরার নৌকায় এবং বড় হওয়ার পর তিনি মাছ ধরা এবং মাছ প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানিসহ নানা কাজে যুক্ত হয়েছেন।
খানিকটা হতাশা ব্যক্ত করে ছেন চি হাও বলেন, “এখন অনেকে হংকংয়ের জেলেদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানেন না। তারা বিশেষভাবে জাপানের তুকিজিসিজইউ (Tukijisijyou) মাছের বাজারে ঘুরে বেড়ান। তবে জাপানের তুকিজিসিজইউ মাছের বাজারের মতো এমন জায়গা হংকংয়েই আছে।”
হংকংয়ের মৎস্য সংস্কৃতি যাতে হারিয়ে না যায়, সেজন্য ছেন চি হাও ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যটন সাংস্কৃতিক উত্সবে মাছের বাজারের স্বেচ্ছাসেবী গাইড হিসেবে কাজ করে আসছেন। তিনি মানুষের কাছে মাছের বাজারের পরিবর্তন ও বিকাশ ব্যাখ্যা করেন এবং অ্যাবার্ডিন মৎস্য বন্দরের রহস্যময় দিকটি তুলে ধরেন।