৩১তম বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় গ্রীষ্মকালীন গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিচালক ছেন উই ইয়া
এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উচ্চ-প্রযুক্তির পূর্ণ ব্যবহারের কারণে আগের চেয়ে আরও সৃজনশীল ধারণাগুলোকে সীমিত সময় এবং স্থানের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে সৃজনশীলতা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে ছেন উই ইয়া বলেন, এবারের প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ২০ বছর আগের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি আর জনসমাগমের উপর নির্ভর করে না কিংবা কষ্টকর অনেক প্রক্রিয়ার উপরও নির্ভর করে না।
একত্রিশতম বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় গেমস আগে দু’বার স্থগিত হয়েছিল। এটিই ছেন উই ইয়া এবং তার দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
গত বছরের মে মাসে এ প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির স্মৃতিচারণ করে ছেন উই ইয়া বলেন, তিনি ও তার দল মঞ্চের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে আলিঙ্গন করেছিলেন। তারা মনে করেছিলেন, এবার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবেই। তবে পরদিনই তারা প্রতিযোগিতা আরও এক বছর পিছিয়ে দেওয়া খবর পান।
ছেন উই ইয়া বলেন, “তিন বছর সময় আমার মনে গভীর দাগ কেটেছে। অনেক কষ্ট আছে। আছে খুব বেশি ক্লান্তি, খুব বেশি বিভ্রান্তি, এবং খুব বেশি উত্তেজনা ও আশা।”
তিনি বলেন, বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করা তার জন্য ছিল প্রথমবারের মতো বড় আকারের কোন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা। তারপর তিনি নানা বড় আকারের অনুষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উপ-পরিচালক এবং সমাপনী অনুষ্ঠানের কার্যনির্বাহী পরিচালক এবং ২০১০ সালে কুয়াংচৌ এশিয়া গেমসের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন তিনি।
ছেন উই ইয়া মনে করেন, বড় আকারের অনুষ্ঠানের মঞ্চে কোনও পরিবেশনা পরিচালনা করা একজন পরিচালকের জন্য খুব ভালো পরীক্ষা ও অভিজ্ঞতা; টিভি নাটক বা চলচ্চিত্র পরিচালনার চেয়ে এটা একটু ভিন্ন।
বিগত ২০ বছরে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বৈদেশিক বিনিময় গভীরতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছেন উই ইয়া বারবার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় আকারের অনুষ্ঠানে নিজের চীনা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন।
তিনি বলেন, “আমি নিজেই আলোর পিছনে ধাবমান ব্যক্তি। দৌড়ে সূর্য সবসময় এগিয়ে থাকে, যা আমাকে আরও জোরে দৌড়াতে অনুপ্রাণিত করে। আমার প্রতিটি সৃষ্টিই স্বপ্ন ধরার একেকটি প্রক্রিয়া।”