৩১তম বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় গ্রীষ্মকালীন গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিচালক ছেন উই ইয়া
ছেন উই ইয়া মনে করেন, খেলাধুলা শুধু শারীরিক ব্যায়ামই নয়; বরং আধ্যাত্মিকতার প্রকাশ এবং একটি জাতির চেতনার প্রদর্শনও। ক্রীড়া আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং সংহতিতে ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের রং বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের নীল রং থেকে একটু ভিন্ন। এবার উজ্জ্বল ও বর্ণিল রং বেছে নেওয়া হয়েছে। ‘সানশাইন’ বা সূর্যালোক হলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল অভিব্যক্তি।
ছেন উই ইয়া মনে করেন, শীতকালীন অলিম্পিক গেমস বেইজিংয়ে শীতকালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু এটা গ্রীষ্মকালীন প্রতিযোগিতা এবং গ্রীষ্মকালের ছেংতু শহর অনেক গরম থাকে। তার মতে, এটি এক ধরনের উদ্দীপনা, তারুণ্যের উদ্দীপনা, এতে মানুষ উত্তেজিত ও উদ্যমী বোধ করে।
ছেন উই ইয়া বলেন, ছেংতু শহর সবসময়ই মেঘলা থাকে বলে ছেংতুবাসীরা প্রাচীনকাল থেকে সূর্যের প্রতি বিশেষ অনুভূতি পোষণ করে। প্রাচীনকাল থেকেই এখানকার মানুষের মন সূর্যের প্রতি ভালোবাসা ও ভক্তিতে ভরপুর। চীনে একটি কথা প্রচলিত আছে। সেটি হলো তরুণরা ‘সকাল আট বা নয়টায় সূর্য’।
সেচ্ছাসেবকসহ দু’হাজারেরও বেশি মানুষ সামার ইউনিভার্সিয়েডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং পুরো অনুষ্ঠানের দৈর্ঘ্য হবে এক শ’মিনিটেরও কম।
এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময়ের সমান, যদিও স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা অ্যাথলেট এবং প্রযুক্তিগত কর্মকর্তাদের সংখ্যা শীতকালীন অলিম্পিকের প্রায় তিনগুণ। ছেন উই ইয়া বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশপথের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের জন্য বারবার আমরা মহড়ার আয়োজন করেছি এবং একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক পারফরম্যান্সকে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সীমিত রেখেছি।
এত অল্প সময়ের মধ্যে একটি অবিস্মরণীয় ও চমৎকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা কতটা কঠিন তা সহজেই কল্পনা করা যায়। ছেন উই ইয়া বলেন, ক্রমাগত অনুশীলনের পর তিনি বুঝতে পেরেছেন ‘চমত্কার তবে সহজসাধ্য’ - এ দুটি’র মধ্যে কোনো বড় দ্বন্দ্ব নেই।