বাংলা

প্রকৃত চীনকে তুলে ধরেছেন জাপানি পরিচালক তাকেউচি রিও

CMGPublished: 2023-06-08 19:23:33
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

অনেক জাপানি দর্শক প্রামাণ্যচিত্রটি দেখার পর চীনে আবার চলে যাওয়ার আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। একজন দর্শক বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন আমি প্রথমবার চীনে গিয়েছিলাম, তখন গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়েছি। এবার পরিচালক তাকেউচি রিওয়ের তথ্যচিত্রের মাধ্যমে চীনের এত বেশি জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি যে আমি সত্যিই খুব খুশি হয়েছি। আমি এখন চায়নিজ ভাষা শিখতে শুরু করেছি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবার চীনে যাওয়া এবং ইয়াংসি নদী দেখার আশা পোষণ করছি।’

অনেক দর্শক তথ্যচিত্রটি দেখার পর চীনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার কথা স্বীকার করেছেন। আর্থ-বাণিজ্যিক শিল্পের সঙ্গে জড়িত একজন দর্শক বলেন, ‘তিনটি গিরিখাত প্রসঙ্গে জাপানের তথ্যমাধ্যম একদা রিপোর্ট করেছিল যে সেখানকার অনেক বাসিন্দা বলপ্রয়োগে তাদের বাসা বদলাতে বাধ্য হন। তবে তথ্যচিত্রের মাধ্যমে আমি জানতে পারি যে সেখানকার বাসিন্দারা বাসা বদলানোর পর অন্য রকমের জীবনযাপন করতে এবং যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে শুরু করেছেন। এ বিষয়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আশা করি, আরও বেশি জাপানি লোক প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে এ মুভি দেখবেন এবং সার্বিকভাবে চীন সম্পর্কে জানবেন।’

উল্লেখ্য, তথ্যচিত্রটি কেবল তিনটি গিরিখাতের ব্যাপারেই নয়, বরং চীনের উন্নয়ন কীভাবে তার জনগণকে উপকৃত করছে- তাও জাপানিদের উপলব্ধি করার সুযোগ এনে দিয়েছে।

বেশ কয়েকজন দর্শক বলেন, তথ্যচিত্রের যে দৃশ্য তাদের মনে সবচেয়ে গভীর দাগ কেটেছে- তা হলো তিব্বতি মেয়ে রেনছিং সিমু’র জীবনের পরিবর্তন। এক জাপানি সাংবাদিক বলেন, ‘দশ বছর আগে নিজের বাসার সামনে বুকে ভেড়া নিয়ে পর্যটকদের সঙ্গে ছবি তুলতেন এ তিব্বতি মেয়ে। দশ বছর আগে সে আকাশচুম্বী ভবন দেখতেন না। তবে দশ বছর পর সে একটি হোটেলের মালিক হয়েছে। তা সত্যিই মনোমুগ্ধকর।’

দশ বছর আগে যখন তাকেউচি রিও তিব্বতি মেয়ে রেনছিং সিমু’র চিত্রগ্রহণ করেন, তখন তারা দু’জন ভিন্ন রকমের বিশ্বে থাকতেন। তবে গত দশ বছরে দূরবর্তী অঞ্চলে সবাই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে এবং সমানভাবে একই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। আগের বিচ্ছিন্ন দু’টি জগত একত্রীত হয়েছে। এই বিশাল পরিবর্তন সত্যিই চিত্তাকর্ষক।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn