বাংলা

চীনের পরিচালক ওয়েন মা ছাই তানের অকাল প্রয়াণ এক অপূরণীয় ক্ষতি

CMGPublished: 2023-05-18 16:05:27
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

দর্শকেরা ওয়েন মা ছাই তানের চলচ্চিত্রে অনেক বৌদ্ধ সংস্কৃতি যেমন: করুণা, পুনর্জন্ম এবং কর্মফল খুঁজে পেতে পারেন। তা ছাড়া,দর্শকেরা মালভূমিতে বসবাস করা লোকদের কালো ত্বক, তিব্বতি-শৈলীর পোশাক, বাসস্থান এবং রীতিনীতিও দেখতে পারেন। তার চলচ্চিত্রগুলো মূলত চীনা চলচ্চিত্র শিল্পে তিব্বতি সংস্কৃতির শূন্যতা পূরণ করেছে এবং হান জাতির গল্পকে প্রধান হিসেবে চীনা চলচ্চিত্রাঙ্গনে বিচিত্রতা ও সমৃদ্ধি এনেছে। একই সঙ্গে ওয়েন মা ছাই তানের চলচ্চিত্র জাতীয়তা এবং অঞ্চলের সীমাবদ্ধতা ভেঙ্গে দিয়েছে।

ওয়েন মা ছাই তানের ‘বেলুন’ মুভিতে তিব্বতি অঞ্চলকে মঞ্চ হিসেবে গড়ে তোলেও সকল নারীর উর্বরতা সমস্যার মুখোমুখি হয়। ‘দ্যা সাইলেন্ট হলি স্টোনস’ নামের প্রথম চলচ্চিত্রে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে আধুনিক সভ্যতার আঘাত নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ওয়েন মা ছাই তানের ধারাবাহিক শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে যেগুলো তিব্বতি অঞ্চলের মানুষের আত্মা এবং বাস্তবতার মধ্যে সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে- সেগুলো তিব্বতি চলচ্চিত্রকে একটি নতুন যুগে নিয়ে এসেছে। ‘দ্যা সাইলেন্ট স্টোনস’ মুভি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পরের দশ বছর পর্যন্ত ওয়েন মা ছাই তান প্রায়ই একাই বহন করেছেন ‘তিব্বতি চলচ্চিত্রের নতুন তরঙ্গ’র ব্যানার। তার নেতৃত্বে তিব্বতি অঞ্চলের চলচ্চিত্রাঙ্গনে আসে একদল অসামান্য মেধাবী নির্মাতা ও শিল্পী।

ওয়েন মা ছাই তান কেবল একজন তিব্বতি পরিচালকই নন, তিনি একজন দ্বিভাষিক লেখক এবং অনুবাদক। তিব্বত সম্পর্কে অনেক লেখক লিখেছেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন বিখ্যাত হয়েছেন। তবে তিব্বতিদের বাস্তব জীবন এবং ঐতিহ্য ও আধুনিক সভ্যতার মধ্যে দ্বন্দ্ব তিব্বতি হিসেবে ওয়েন মা ছাই তানের কলমে আরও বিশদ এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn