ত্রয়োদশ বেইজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব বিশ্ব চলচ্চিত্র অঙ্গনে চালিকাশক্তি প্রদান করে
‘লিন জে সুই’ ৮কে আলট্রা হাই ডেফিনিশন পদ্ধতি দিয়ে শুটিং করা হয় এবং নাটক মঞ্চে অভিনয়ের প্রতি সম্মান করার ভিত্তিতে ফিল্ম-স্তরের প্রযোজনায় শিল্পীদের চমৎকার অভিনয় রেকর্ড করা হয়। আগামি মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব আলট্রা হাই ডেফিনিশন সম্মেলনে এ সিনেমার ৮কে’র সংস্করণ প্রথমবার স্ক্রিনিং হবে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস সৃজনশীল ধারণা দিয়ে মঞ্চ নাটক কেবলমাত্র মঞ্চে সীমাবদ্ধ না করার চেষ্টা করে। সাধারণ সিনেমার চেয়ে ‘লিন জে সুই’ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ, তা হলো এতে নৃত্য রয়েছে। মঞ্চের ডিজাইনার ছিও সিন বিশেষভাবে স্টেজটিকে ১১ ডিগ্রী পর্যন্ত কাত করে তুলেছেন। সামনের সারিতে থাকা দর্শকরা মঞ্চের গভীরতম অংশে কী ঘটছে- তা স্পষ্টভাবে দেখতে পারেন এবং দর্শকরা পিছনের সারিতেও মঞ্চের পিছনের সাথে একটি সমান দৃষ্টি রেখা পেতে পারেন।
কোরিওগ্রাফার হুয়াং তৌ তৌ দর্শকদের সঙ্গে কোরিওগ্রাফি’র পিছনের গল্প শেয়ার করেন। এগারো ডিগ্রী জায়গা আশেপাশের জীবনে খুব কম পাওয়া যায়, তাই তিনি একটি আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যারেজের র্যাম্পে বারবার নাচের চল বিবেচনা করতেন।
নিজের এই শিল্পকর্ম নিয়ে খুব সন্তুষ্ট বলে এর মঞ্চ পরিচালক ওয়াং সিও তি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবশেষে এই সিনেমা তার কল্পনার চেয়ে আরও ভালো হয়েছে। তিনি আশা করেন, সবাই প্রেক্ষাগৃহে এই সিনেমা দেখতে যাবেন।
প্রিমিয়ারে সাংবাদিকরা দেখতে পান যে, যারা এ সিনেমার প্রিমিয়ার দেখতে আসেন, তারা বিভিন্ন শ্রেণীর বয়সের লোক। এক তরুণ মা নিজের ছোট বাচ্চাকে নিয়ে মুভি দেখতে আসেন। তিনি বলেন, লিন জে সুই হলেন চীনের জাতীয় বীর। তার উদ্যোগ ‘হুমেনে আফিমের ধ্বংস’ চীনের ইতিহাসে দারুণ বিখ্যাত। এই ঘটনাটি পরবর্তীতে প্রথম আফিম যুদ্ধের ফিউজে পরিণত হয়। আজ আমি বাচ্চাকে নিয়ে এ মুভি দেখতে আসি। আশা করি, ছোটবেলা থেকে চীনের ইতিহাস সম্পর্কতে সে জানতে পারবে।