বসন্ত উত্সবের ছুটিতে মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকটি চলচ্চিত্র নিয়ে কথা
দেখা গেল সেবছর বনে আসলে আগুন দুর্ঘটনাক্রমে লাগেনি। পর্দার আড়ালে একজন আছে, সে ইচ্ছাকৃতভাবে বনে আগুন লাগিয়েছে। মানুষকে বাঁচাতে মা ভাল্লুক বিনা দ্বিধায় ছুটে যায় বনের গভীরে। ফলে আগুনে পুড়ে সে গুরুতরভাবে আহত হয়ে নিখোঁজ হয়। সে কাকে বাঁচিয়েছিল? আগুন লাগানোর অপরাধী কে ছিল? এবং আগুন লাগানোর উদ্দেশ্য কি ছিল? ধারাবাহিক সাসপেন্স এবং প্রশ্ন এই মুভি’র আরেকটি গল্পের দিকে নির্দেশ করে।
এখানে আমি বিশ্বাস করি, দর্শকেরা অবশ্যই বুঝতে পারেন যে,আপাতদৃষ্টিতে ভাল্লুকের সহজ গল্প কেন সরল নয়। বসন্ত উত্সবের ছুটির বাজারে কেন এ মুভিটি জায়গা দখল করতে পারে, তাও বুঝতে পারেন। একদিকে, এতে কমেডির সব উপাদান আছে, অন্যদিকে এটি কার্টুন মুভি’র কাঠামোয় সর্বোচ্চ কারিশমা দেখিয়েছে।
সিয়োং তা, অর্থাত্ বড় ভাল্লুক ভাইয়ের শরীরে দর্শকেরা ‘বড় হয়ে ওঠা’ দেখতে পারেন। মায়ের চলে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করছিল সে। এমনকি, সে সন্দেহ প্রকাশ করলো যে, মা তাদের পরিত্যাগ করেছিলো। ‘Boonie Bears:Guardian Code’ নামের এ মুভিতে তাদের মা’র নিখোঁজ হওয়ার গোপন তথ্য উন্মোচিত হয়। পাশাপাশি, সিয়োং তা মা’র চলে যেতে বাধ্য হওয়ার কারণ বুঝতে পারে। সংবেদনশীল সিয়োং তা ততদিনে প্রাপ্তবয়স্ক ভাল্লুকে পরিণত হয়েছে।
সিয়োং আর’র চরিত্রে আমরা সাহস দেখতে পাই। আগের মুভিতে বেশি দুবর্ল ও ভীতু ছিলো। সমস্যার সম্মুখীন হলে সে সবসময়ই বড় ভাল্লুক ভাইয়ের পিছনে লুকাতে পছন্দ করতো। তবে নতুন মুভিতে গুরুত্বপূর্ণ সময়কালে সিয়োং আর বীর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। তার এই সাহস সবাইকে উত্সাহিত করেছে এবং তারা সম্মিলিতভাবে ন্যায়ের পক্ষে লড়েছে। এমন একটি আনন্দময় ও মজাদার কমেডি বিভিন্ন বয়সের দর্শককে পছন্দ করবেন, সেটা বলাই বাহুল্য।