বিদেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে চীনা তথ্যচিত্র
বিংশ শতাব্দীর ৮০-এর দশক থেকে ২১ শতকের শুরু পর্যন্ত, বিশ্বের কাছে চীনা তথ্যচিত্রে বলা চীনা গল্পগুলো ইতিহাস, সংস্কৃতি, বন্যপ্রাণী এবং প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপের ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে ‘রেশম পথ’এবং ‘মহাপ্রাচীরের উপাখ্যান’-এর মত চমৎকার সব তথ্যচিত্র বিদেশে প্রচারের সুদূরপ্রসারী প্রভাব অর্জন করেছে। ২০১১ সালে সিসিটিভি ডকুমেন্টারি চ্যানেল চালু করা হয়েছিল, এবং এটি দেশে-বিদেশে তথ্যচিত্রের জন্য একটি সম্প্রচার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।
চীনা তথ্যচিত্রের আন্তর্জাতিক প্রচারের সাথে জড়িত বিষয়বস্তু ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। চীনা খাদ্য ও লোকসংস্কৃতি, চীনা ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক শিল্পকলা, চীনা প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, চীনা সমাজ এবং দৈনন্দিন জীবন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। ডকুমেন্টারির থিমগুলো ক্রমে সমৃদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে চীনের জাতীয় চিত্রও ক্রমশ পূর্ণ এবং প্রাণবন্ত হচ্ছে। বিদেশী দর্শকেরা যা দেখেন তা আর চীনের একটি প্রাচীন, একক, স্থির চিত্র নয়, যা শুধুমাত্র ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি এবং মহৎ ল্যান্ডস্কেপ দ্বারা নির্মিত, বরং আরও বেশি করে একটি ত্রিমাত্রিক, প্রবাহিত আধুনিক সভ্যতায় পূর্ণ চীনকে তারা দেখতে পান।
চীনা তথ্যচিত্রে জড়িত ক্ষেত্রগুলো একটি বহুমাত্রিক প্যাটার্ন উপস্থাপন করে। ধীরে ধীরে পশ্চিমা মিডিয়া দ্বারা তৈরি চীন সম্পর্কে স্টেরিওটাইপগুলো ভেঙে দেয়। বিদেশী দর্শকেরা শুধুমাত্র আধুনিক চীনের ম্যাক্রো উন্নয়ন জানতে চায় না, সাধারণ চীনাদের জীবনযাত্রার অবস্থা সম্পর্কেও কৌতূহলী।
বলা যায়, অগণিত প্রাণবন্ত এবং সূক্ষ্ম পৃথক চিত্র অবশেষে দেশের চিত্রে রূপান্তরিত হয়। যেমন, ‘চীনা পুলিশের দৈনন্দিন জীবন’ শিরোনামে এক তথ্যচিত্রে জীবন, কর্তব্য এবং আইন প্রয়োগে সাধারণ পুলিশ অফিসারদের সাধারণ গল্প শুরু হয়ে বাস্তব ও প্রাণবন্ত ভাবমূর্তির এবং এক একটি দ্রুত গতির কাহিনীর মাধ্যমে সমসাময়িক চীনা পুলিশের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা, উৎসর্গ এবং কঠোর পরিশ্রমকে ফুটিয়ে তুলেছে।