বাংলা

চীনের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন উপাখ্যান

CMGPublished: 2022-11-02 11:22:23
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

প্রিয় বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে আমরা গত এক দশকে চীনা ডকুমেন্টারি এবং সাই-ফাই চলচ্চিত্রের বিকাশ নিয়ে কথা বলব।

প্রথমে চীনা প্রামাণ্যচিত্রের দিকে তাকানো যেতে পারে।

সংশ্লিষ্ট নীতির সমর্থনে এবং বাজারের উত্সাহে দেশীয় প্রামাণ্যচিত্রের উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। ২০২১ সালে দেশীয় প্রামাণ্যচিত্রের বক্স অফিস আয় ছিল ২০১২ সালের ৩৪ গুণ। গত দশ বছরে এক গুচ্ছ প্রশংসনীয় প্রামাণ্যচিত্র দেখা গেছে।

২০১৭ সালে ‘টুয়েন্টি টু’ প্রামাণ্যচিত্রের দর্শক সংখ্যা ৫৬ লাখ ছাড়িয়ে যায় এবং বক্স অফিসের আয় ছিল ১৭ কোটি ইউয়ানের বেশি, যা দেশীয় প্রামাণ্যচিত্রের বক্স অফিসে রেকর্ড সৃষ্টি করে।

২০২১ সালে মহামারী প্রতিরোধ সংক্রান্ত চীনের প্রথম তথ্যচিত্র ‘উহানের দিনরাত্রি’ ২৫৭ জন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এটি ৭০টি শহরে ৩৫৮ বার প্রদর্শিত হয়েছে।

চীনের প্রামাণ্যচিত্রের বিষয় ধাপে ধাপে বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে এবং যুগ ও সমাজের আলোচিত বিষয়ের ওপর দৃষ্টিপাত করছে। এসবে মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেয়াসহ আরও ভালোভাবে চীনা গল্প বলা হচ্ছে।

এবার সাই-ফাই মুভির ওপর দৃষ্টি দেয়া যেতে পারে।

২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ডোমেস্টিক সায়েন্স ফিকশন ফিল্ম ‘ওয়ান্ডারিং আর্থ’ মুভিটি ভালো আয় করেছে। সে সঙ্গে দর্শকদের সমাদরও পেয়েছে। এর মোট আয় ছিল ৪৬৯ কোটি ইউয়ানের বেশি। দর্শক সংখ্যা ১১ কোটিতে দাঁড়ায়। মুভিটি দেশীয় সাই-ফাই মুভির দরজা খুলে দিয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

গত দশ বছরের মধ্যে অনেক সাই-ফাই মুভি একের পর এক দেখা গেছে। তারা বাজারের স্বীকৃতিও পেয়েছে। ২০২০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র ব্যুরো ‘সাই-ফাই মুভির উন্নয়ন বেগবান সংক্রান্ত প্রস্তাব’ প্রকাশ করেছে। এতে সাই-ফাই মুভি তৈরি, প্রকাশনা, প্রদর্শন, বিশেষ প্রভাব প্রযুক্তি এবং ধীশক্তির প্রশিক্ষণসহ নানা বিষয়ে সমর্থনসহ নির্দেশনা-সংক্রান্ত ১০টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। ফলে এ প্রস্তাব সাই-ফাই মুভির উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ নতুন চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে।

চলতি বছরের জুলাই মাসে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মুন ম্যান’ সাই-ফাই মুভির বক্স অফিস আয় ছিল ৩০৯ কোটি ইউয়ানের বেশি। এতে আমরা আরেকবার দেশীয় সাই-ফাই মুভি’র প্রাণবন্ত শক্তি দেখতে পাই। ভবিষ্যতেও এমন আরও অনেক দেশী সায়েন্স-ফাই ফিল্ম আসবে বলে প্রত্যাশা করা যায়।

চাইনিজ সাই-ফাই ফিল্মের উত্থান চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত শক্তির দ্রুত উন্নতি এবং গত এক দশকে মহাকাশ শিল্পের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর প্রতিফলন।

লিলি/এনাম/রুবি

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn