মুল ভূভাগে হংকং চলচ্চিত্রের একীভূত হওয়ার পথ
৯০’র দশকে হংকংয়ের চলচ্চিত্র বাজার এবং শিল্পখাত অবনতি হচ্ছিলো। আর্থিক সংকট এবং শিল্পের অভ্যন্তরীণ সমস্যাসহ নানা প্রতিবন্ধকতার সামনে হংকংয়ের চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত মানুষের সংখ্যা ৮০’র দশকের ২০ হাজার থেকে ২০০৩ সালের ৫ হাজারের কমে নেমে আসে।
মা ফোং কুও বলেন, ১৯৯৭ সালে হংকং মাতৃভূমিতে ফিরে আসে এবং এতে মুল ভূভাগ ও হংকংয়ের চলচ্চিত্র শিল্পের বিনিময়ের বাস্তব ভিত্তি সৃষ্টি হয়। কোনো কোনো হংকং চলচ্চিত্র নির্মাতা ধাপে ধাপে বুঝতে পারেন যে, উন্নয়নের নতুন সুযোগ খুঁজতে হলে মুলভূভাগের বাজারের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
২০০৩ সালে ‘মেইনল্যান্ড ও হংকংয়ের মধ্যে আরো ঘনিষ্ঠ আর্থ-বাণিজ্যিক অংশীদারি সম্পর্ক স্থাপনের ব্যবস্থা’ স্বাক্ষরের ফলে হংকংয়ের চলচ্চিত্রগুলো মূল ভূখণ্ডের বাজারে প্রবেশের জন্য একটি ‘নতুন চালিকাশক্তি’ দেওয়া হয়। হংকংয়ে চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত একদল মানুষ মুলভূভাগে উন্নয়নের পথ অনুসন্ধান করা শুরু করেন।
দৃষ্টির ক্ষেত্র যত বড়, ফিল্ম প্যাটার্ন তত বড়। হংকংয়ের চলচ্চিত্র নির্মাতা থিয়েন ছি ওয়েন বলেন, ‘মূল ভূখণ্ডের চলচ্চিত্রের বিকাশ সর্বোত্তম যুগের সূচনা করছে। দ্রুত বিকাশমান চলচ্চিত্র শিল্প এবং সমৃদ্ধ সামাজিক বিষয়বস্তু হংকংয়ের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চেষ্টা এবং চ্যালেঞ্জের সুযোগ দিয়েছে।’ অগ্রগতি অনুসরণ করা এবং দেশের উন্নয়নে একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় হংকংয়ের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আরও বেশি করার জায়গা থাকবে।
মূল ভূখণ্ডের কোম্পানি এবং প্রযোজকদের সঙ্গে হংকং পরিচালকদের সহযোগিতায় তৈরি মুলধারার ফিল্মগুলো হলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় সৃজনশীলতার মডেল। হংকং-এর সফল বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের উপাদান গ্রহণ করে ফিল্ম প্রোডাকশন ‘চীনা গল্প’ বলার কার্যক্রম আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে।