তুষারময় আকাশের নীচে যে ৬৬ হাজার বার ছবি প্রদর্শনের পিছনে
আকাশের নীচে স্ক্রিনের ম্লান আলো বালিং গ্রামের একটি মেয়ের লাল মুখের প্রতিফলন ঘটেছিল। মাত্র ৬ বছর বয়সী মেয়েটি তার দাদীর গায়ে হেলান দিয়ে পর্দার দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকাচ্ছিলো। প্রথমবার চলচ্চিত্র দেখে তার মনে হচ্ছিল যেন স্বপ্ন দেখছে। তার চারপাশে চারণ থেকে ফিরে আসা পুরুষরা এবং মেয়েরা, যারা ব্যাংডিয়ান (তিব্বতি এপ্রোন) বুনন শেষ করেছে, তারা সিনেমা দেখতে দেখতে আড্ডা দিচ্ছেন এবং হাসছেন। গ্রামবাসীদের জন্য এই অস্থায়ী ‘সিনেমা হল’ তাদের ‘সামাজিক প্ল্যাটফর্ম’, যার জন্য তারা অপেক্ষা করছে।
২০২১ সালে তিব্বতে প্রায় ৫০০টি তৃণমূলের ফিল্ম স্ক্রিনিং দল জনকল্যাণমূলকভাবে মোট ৬৬ হাজারেরও বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেছে। হাজার হাজার চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পিছনে রয়েছে তৃণমূল চলচ্চিত্র প্রজেকশনিস্টদের কঠোর পরিশ্রম, যা একটি সুন্দর এবং সুখী তিব্বত নির্মাণে সহায়তা করেছে।
জানা গেছে, তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ফিল্ম পাবলিক সার্ভিস সেন্টার ধীরে ধীরে খোলা জায়গায় সিনেমা প্রদর্শন থেকে ঘরের ভিতরে প্রদর্শন রূপান্তর করার কাজ পরীক্ষামূলকভাবে চালাচ্ছে, ফলে জনসাধারণকে আরও সুবিধাজনক আরো আরামদায়ক চলচ্চিত্র দেখার অভিজ্ঞতা দেওয়া যাবে।
লুও চু-এর জন্য তৃণভূমি বা রুমের ভিতর, যাই হোক না কেন, যখন পর্দা থাকে এবং ভিড় হয়- মানুষ তখন খুশি হয়, তখন আমিও সন্তুষ্ট থাকি।