বাংলা

তুষারময় আকাশের নীচে যে ৬৬ হাজার বার ছবি প্রদর্শনের পিছনে

CMGPublished: 2022-06-23 17:29:25
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

আকাশ অন্ধকার হয়ে আসছে, দূর থেকে ভেসে আসছে গরুর গলায় ঝুলানো ঘণ্টার আওয়াজ। সেই সময় রাখাল দেরিতে ফিরে আসে এবং পশুপালক লুও চু তখন থেকে ব্যস্ত হতে শুরু করেন। গ্রামের প্রবেশদ্বারের ফাঁকা জায়গায় তিনি দক্ষতার সাথে একটি পর্দা লাগিয়েছিলেন এবং প্রজেক্টর ও সাউন্ড স্ট্যান্ড স্থাপন করেছিলেন। গ্রামের ছেলেমেয়েরা তখনই চারপাশে জড়ো হয়, তাদের প্রিয় সিনেমা দেখার জন্য চিৎকার করে। বয়স্করাও বাড়ি থেকে লম্বা কম্বল টেনে নিয়ে এসে জড়ো হন।

তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ডাংসিয়োং জেলার বালিং গ্রামে গ্রীষ্মের একটি সন্ধ্যা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩০০ মিটার উঁচুতে তৃণভূমিটি মেঘের সাথে সংযুক্ত, যেন হাত তুলেই মেঘ ধরা যায়। আকাশে ছড়িয়ে থাকা ক্যানভাসের মতো চলচ্চিত্র দেখানোর জন্য একটি পর্দা আছে। ৬২ বছর বয়সী লুও চু স্থানীয় একটি গ্রামীণ জনকল্যাণমূলক চলচ্চিত্র প্রজেকশনিস্ট। ১৯৮৫ সাল থেকে, তিনি ডাংসিয়োং জেলার প্রায় দু’শটি গ্রামে চলচ্চিত্র দেখিয়ে বেড়িয়েছেন।

লুও চু যখন প্রথমবার সিনেমা দেখেন, তখন তার বয়স ছিল ১০ বছর। তার মনে হতো লোহার বাক্সে প্রজেক্টর একটি মূল্যবান বস্তু, যা স্পর্শ করা যায় না এবং পর্দা লাগানোর কাজ প্রত্যেক গ্রামবাসী তাকে সাহায্য করার জন্য ছুটে আসতে চেয়েছিলেন। সেই সময় তিনি কেবল ভেবেছিলেন যে, এত বেশি ‘উঁচু প্রযুক্তির’ সরঞ্জামের অধিকারী প্রজেকশনিস্ট সবচে শক্তিশালী ব্যক্তি। কিন্তু সিনেমার বিষয়বস্তু সম্পর্কে তার খুব বেশি আগ্রহ ছিল না। তিনি শুধু মনে করতেন যে, বিখ্যাত অভিনেত্রী পর্দায় বেইজিংয়ে গান গাইছেন। সবাই হাততালি দিয়ে সাধুবাদ জানায়।

বিংশ শতাব্দীর ৮০ দশকের শুরুর দিকে জেলায় চলচ্চিত্র প্রজেকশনিস্ট নিয়োগ করা ছিলো। লুও চু, যিনি ‘হাঁটা ট্র্যাক্টর’ চালাতে পারতেন, তিনি স্মার্ট ও পরিশ্রমী ছিলেন। অবশেষে তিনি স্বপ্নের চাকরিটি পেয়ে যান। রিওয়াইন্ড করা এবং পর্দা স্থাপন করা শেখা থেকে শুরু করে, লুও চু চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পথে যাত্রা শুরু করেন।

123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn