পরিচালক চাং ই মৌ
এ চলচ্চিত্র শুটিং করা হয় গরম জুন মাসে। চাং ও ছেন প্রতিদিন ভোর চারটায় উঠে প্রতিটি শটের ডিজাইন এবং বিন্যাস নিয়ে আলোচনা করতেন।
স্বাভাবিকভাবেই, চাংয়ের ফটোগ্রাফিক প্রতিভা ছিল অসামান্য। কিন্তু পরিচালক হিসেবে তার প্রতিভা দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, যখন আমরা অন্যান্য বিখ্যাত চীনা পরিচালকের কথা উল্লেখ করি, তখন প্রায়ই প্রত্যেকের একটি স্বতন্ত্র শৈলীর কথা মনে পড়ে।
কিন্তু চাং ই মৌ’র চলচ্চিত্রের কথা বলতে গেলে, বিশাল দৃশ্য-বিন্যাস এবং শক্তিশালী রংয়ের কথা মনে পড়ে।
ফটোগ্রাফি ছাড়া চলচ্চিত্র শুটিংয়ের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া কঠিন।
অর্থাৎ এই স্টাইল- যা পরিবর্তনযোগ্য। তবে এটি মূল্যায়নের অর্থ হলো পরিচালক চাং তার নিজস্ব সিস্টেম তৈরি করেন নি।
তবে চাং হচ্ছেন চীনের সবচে পরিশ্রমী পরিচালক। ১৯৮৮ সালে তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘Red Sorghum’ থেকে এখন পর্যন্ত তিনি প্রায়ই বছরে একটি চলচ্চিত্র তৈরির প্রক্রিয়ায় মোট ২৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। এর মধ্যে আরো আছে দুটি অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান পরিচালনা, অসংখ্য অপেরা অনুষ্ঠান, গালা অনুষ্ঠান এবং প্রচারণামূলক ভিডিও প্রভৃতি।
তিনি আগে এভাবে নিজের মূল্যায়ন করেছিলেন যে, আমি বলতে পারি না যে, আমি চীনের সেরা পরিচালক। তবে আমি বলতে পারি যে, আমি চীনের সবচেয়ে পরিশ্রমী পরিচালক।
যারা পরিচালক চাংয়ের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাদের সবার মূল্যায়ন একরকম, তা হলো তিনি ‘কাজ পাগল মানুষ’।
তিনি টানা দশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কাজ করতে পারেন, নানা সম্মেলন, নানা যোগাযোগ করতে পারেন।
তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘড়ির কাঁটা আধা ঘন্টা এগিয়ে রাখেন এবং এভাবেই নিজেকে সময় নষ্ট না করার দিকে মনোযোগ দেন।
গত কয়েক দশকে চাং ইমৌ’র অর্জনগুলো ছিল অসাধারণ। এখন তার কথা উল্লেখ করলে প্রায়ই প্রশংসার কথা শোনা যায়। তবে আগে তাকে নিয়ে অনেক সমালোচনাও ছিলো। গালাগালি করা ও অভিযোগ করা তাঁর পুরো ক্যারিয়ারের সঙ্গে জড়িত।