অলিম্পিকের পর চীনের প্রামাণ্যচিত্রের অবস্থা ও উন্নতি
বেইজিং অলিম্পিক গেমসের পর ক্রীড়ার পরিবেশ উন্নত হচ্ছে। ক্রীড়া বিষয়ে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত হয়েছে ও অংশগ্রহণ বাড়ছে। নতুন এই সময়ে ক্রীড়াবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্রের বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ও সৃজনশীলতা বাস্তবায়িত হয়েছে।
এই সময় নারী-থিমযুক্ত ক্রীড়া তথ্যচিত্র ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। ২০০৮ সালের পর থেকে ক্রীড়া খাতে নারীর ভাবমূর্তি নানা প্রামাণ্যচিত্রে দেখা দেয়। নারীকে কেন্দ্র করে তৈরি এক প্রামাণ্যচিত্রে নারীদের ক্রীড়ার গল্প, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা, তাদের ক্রীড়ার জীবন ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে সেই সময় চীনের ক্রীড়া খাতে নারীদের ভাবমূর্তি বর্ণনা করেছে। এতে নতুন শতাব্দীর পর থেকে চীনের ক্রীড়া খাতে নারীদের অভূতপূর্ব ইমেজ এবং স্বাধীন চেতনা ফুটে ওঠে। এসব প্রামাণ্যচিত্রে নারীদের চেহারা ও শারীরিক গঠনসহ নানা সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে এবং একটি শক্তিশালী শরীর, অধ্যবসায়ী চরিত্র এবং বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন নারীদের ভাবমূর্তি তৈরি হয়।
মানুষের ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক জীবন এবং সমাজের ক্রমাগত বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলার সীমানা ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে, খেলাধুলার সংজ্ঞাও নিরন্তরভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং যে ইভেন্টকে ‘ক্রীড়া’ বা ‘প্রতিযোগিতা’ হিসেবে বলা যেতে পারে তাও বাড়ছে।
‘শত বছরের শত চ্যাম্পিয়ন’ নামে একটি স্পোর্টস বায়োপিক প্রামাণ্যচিত্র উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এতে ঐতিহ্যবাহী স্পোর্টস ইভেন্ট, যেমন ডাইভিং ও পিংপং প্রতিযোগিতার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ছাড়া, ইন্টারনেট খেলাসহ ই-স্পোর্টসের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ থেকে দেখা যায়, স্পোর্টস শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী শরীর চর্চায় সীমাবদ্ধ নয়, আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে জন্ম হওয়া নতুন ইভেন্ট অব্যাহতভাবে ক্রীড়া ও চ্যাম্পিয়ন খাতে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করেছে।