তুষার ও বরফকে থিম হিসেবে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো
বিদেশি বা দেশীয় খেলাধুলা-ভিত্তিক চলচ্চিত্রের দিকে তাকালে বিষয় পর্যায়ে চলচ্চিত্রগুলো অলিম্পিকের আধ্যাত্মিক ভাব, প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব, ইতিবাচক ও আশাবাদী জীবনের মনোভাব প্রকাশের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
চলচ্চিত্রের সাহায্যে বরফ ও তুষার ক্রীড়া সহজেই জনগণের কাছে চলে যায়। চমৎকার বরফ ও তুষার-সংক্রান্ত মুভি দর্শকের সঙ্গে এসব খেলার দূরত্ব কমিয়ে দেয়। অনেক দর্শক আশা করেন যে, তারা সিনেমার চরিত্রের মতো বরফ ও তুষারের মধ্যে ছুটবেন। এভাবে বরফ ও তুষারময় স্থান এবং বরফ ও তুষারের খেলায় অংশ নিতে লোকজনকে উত্সাহ দেয় চলচ্চিত্রগুলো।
গত ১৮ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট সি বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস এবং শীতকালীন প্যারালিম্পিক গেমসের প্রস্তুতিমূলক কাজের খোঁজ খবর নেন। তখন তিনি বলেন, ক্রীড়ার মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করে তোলার ভিত্তি হলো জনগণের ক্রীড়া। বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিক শীতকালীন গেমস আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের দেশের বরফ ও তুষার ক্রীড়া জনপ্রিয় করে তোলা যায়। ৩০ কোটি মানুষের মধ্যে বরফ ও তুষারের ক্রীড়াকে আরও ভালভাবে জনপ্রিয় করে তোলা এবং একটি ক্রীড়া খাতের শক্তির দেশ গঠন হলো আমাদের উদ্দেশ্য।
আপনি যদি মনে করেন যে, তুষার ও বরফের খেলা শুধুমাত্র উত্তরাঞ্চলেই হয়—তাহলে বেশ ভুল করবেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, দেশে জোরালোভাবে বরফ ও তুষারের খেলা দক্ষিণাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত, সারা দেশে ৮০০টিরও বেশি স্কি রিসোর্ট তৈরি করা হয়েছে এবং ৫ কোটি মানুষ সরাসরি বরফ ও তুষারের খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ২০১৯-২০২০ সালের শীতে সারা দেশে প্রায় ১৫ কোটি মানুষ বরফ ও তুষারের খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। বরফ ও তুষার খেলা সাধারণ মানুষের জীবনে প্রবেশ করেছে এবং যা তরুণদের বিনোদনের অংশ। বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অনিবার্যভাবে বরফ ও তুষারের ঢেউ শুরু হবে। নিঃসন্দেহে বরফ ও তুষারের খেলা জনসাধারণের বিনোদনের দুর্দান্ত উপায় বলে আশা করা হচ্ছে।