টিকা খাতে চীনের সহযোগিতার প্রশংসা জানাতে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছে জিম্বাবুয়ে-China Radio International
জিম্বাবুয়ে ও চীনের টিকা খাতে সহযোগিতা নিয়ে সেদেশের তৈরি এই তথ্যচিত্রের কাহিনীতে বলা হয়, চীনের নভেল করোনাভাইরাসের টিকার সাহায্যে সেদেশের দর্শনীয় স্থান বা ভিক্টোরিয়া শহরে পর্যটন শিল্প ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হয়েছে এবং অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।
সম্প্রতি জিম্বপেপার্স টিভি নেটওয়ার্ক ‘ZIMBABWE-CHINA VACCINE PROGRAMME, BUILDING A HEALTH SHIELD FOR THE CITY OF VICTORIA FALLS’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করেছে।
আধা ঘণ্টার এই প্রামাণ্যচিত্রে জিম্বাবুয়ের দর্শনীয় স্থান হিসেবে ভিক্টোরিয়া শহরে চীনা টিকার সাহায্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের ও পর্যটকদের ‘কম সংক্রমণ ও শূন্য মৃত্যু’ এবং ধাপে ধাপে পর্যটন খাত পুনরুদ্ধার ও অর্থনীতির উন্নয়ন বাস্তবায়নের গল্প ফুটিয়ে তুলেছে।
ভিক্টোরিয়া শহরে বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম জলপ্রপাতের একটি অর্থাত্ ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত অবস্থিত। সেই সঙ্গে সমৃদ্ধ উদ্ভিদ এবং প্রাণীজ সম্পদ আছে। নভেল করোনাভাইরাস প্রকোপের আগে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার পর্যটকরা ওই স্থানে ভ্রমণ করতে যেতেন। ভিক্টোরিয়া শহরটির পর্যটন খাতে আয় জিম্বাবুয়ের সারা দেশের পর্যটন আয়ের ৫০ শতাংশেরও বেশি।
তবে মহামারীর নেতিবাচক প্রভাবে সেখানকার পর্যটন খাত একদম স্থবির হয়ে পড়ে। সীমানা বন্ধ হয়ে যায়, ফ্লাইট স্থগিত করা হয় এবং আন্তঃপ্রাদেশিক ভ্রমণও নিষিদ্ধ হয়। ভিক্টোরিয়া শহরের হোটেলগুলোতে একটি অভূতপূর্ব শূন্যতা তৈরি হয়। বেশিরভাগ স্থানীয় মানুষ তাদের জীবিকার জন্য পর্যটনের উপর নির্ভর করত। মহামারী প্রতিটি পরিবারের জীবনে প্রভাব ফেলেছে।
চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে ভিক্টোরিয়া শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আকারে চীনের সিনোফার্মের টিকা দেওয়া শুরু হয়। এপ্রিল মাসের শেষ দিকে এ শহরে টিকাদানের হার ৭৭ শতাংশ ছিল এবং এ শহরটি জিম্বাবুয়ের প্রথম শহর হিসেবে গ্রুপ অনাক্রম্যতা অর্জন করে।