বেইজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে রোমানিয়ার চলচ্চিত্র ‘নো রেস্ট ফোর দ্য লেডি’-China Radio International
এ চলচ্চিত্র হলো রোমানিয়ার পরিচালক অ্যান্দ্রেই গ্রুজনিজকি’র চতুর্থ লম্বা দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র। যা ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে প্রথমবার মুক্তি পাওয়ার পর রোমানিয়ার চলচ্চিত্র উত্সবে তা প্রদর্শিত হয়। তারপর চলচ্চিত্রটি বেইজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত হয়।
বেইজিং ফিল্ম একাডেমির শিক্ষক চাং সিও তি চলচ্চিত্র দেখার পর সাংবাদিকদের বলেন, এই চলচ্চিত্রটি একটি সাধারণ বর্ণনামূলক পদ্ধতি নয়, বরং অডিও-ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট গল্প বলা হয়। আগে দেখা ভূতের সিনেমা বা রহস্যময় চলচ্চিত্রের চেয়ে একটু ভিন্ন রকম। এ চলচ্চিত্রে খুব স্পষ্ট সাসপেন্সের বিষয় খুঁজে পাওয়া যায়নি।
দর্শকেরা জিজ্ঞাস করেন, দু’জন বৃদ্ধের মৈত্রী ছাড়া, চলচ্চিত্রে আর কি কি বলা হয়েছে? উত্তরে পরিচালক অ্যান্দ্রেই গ্রুজনিজকি বলেন, ‘...চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বৃদ্ধদের জীবনের ওপর দৃষ্টি রাখার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে দূরবর্তী অঞ্চলের বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, আধুনিক সমাজ প্রায় যাদেরকে পরিত্যাগ করেছে এবং তারা একাকী ও নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছেন। বসয় বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা কীভাবে মৃত্যুকে দেখবেন, তার ওপর দৃষ্টিপাত করা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।’
পরিচালক আরও বলেন, ‘কিছু সামাজিক সমস্যা তুলে ধরা ছাড়াও, আমার রচনার অনুপ্রেরণা আশেপাশের বন্ধু থেকে এসেছে। আমার খুব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু আছে। তিনি একজন কবি এবং তার মা’র বয়স ৯০ বছর। তবে তার দারুণ শক্তি আছে, তিনি সবসময়ই তার চারপাশের মানুষকে প্রেরণা দিতে পারেন এবং নিজের বয়সসীমা অতিক্রম করে যান।
তিনি আমাকে রচনার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তাই আমি এমির নামে এমন একটি চরিত্র তৈরি করেছি, যিনি সক্রিয় ও বয়সসীমা অতিক্রম করেছেন। অন্যদিকে আমি গ্রামের কিছু গতানুগতিক ঐতিহ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি। এখন পর্যন্ত রোমানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এসব রীতিনীতি সম্মানিত ও অব্যাহত রয়েছে। সেখানকার মানুষ এখনও বিশ্বাস করেন যে, মৃত্যুর পরে একটি আত্মা থাকে। ‘No Rest for the Old Lady’ নামে চলচ্চিত্রের দু’টি নায়ক সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন ব্যক্তিত্বের দুইজন বয়স্ক মানুষ। এমির প্রাণবন্ত এবং ভূত-দেবতায় বিশ্বাস করেন না, সংগ্রাম করতে পছন্দ করেন এবং সাইডকারে চড়েন, তিতি আরামদায়ক, তিনি রীতিনীতি মেনে চলেন এবং হুইল চেয়ারে বসে থাকেন। যদিও তাদের বিশ্বদর্শন এত ভিন্ন, তাদের বন্ধুত্ব একই। এটি গ্রহণযোগ্য ও সহনশীলতার একটি চলচ্চিত্র।