আফ্রিকান তরুণ-তরুণীদের চোখে চীন-China Radio International
ক্যামেরোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওমর বলেন, ‘এখন চীনের তৈরি মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য স্থানীয় তরুণদের সমাদর পেয়েছে।’
আফ্রিকায় চীনা সংস্কৃতির প্রভাব অব্যাহতভাবে বাড়ছে। অনেক সাক্ষাত্কারে উত্তরদাতারা চীনের কংফু, চলচ্চিত্র ও টিভি নাটক নিয়ে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে। অনেক কংফু তারকা আফ্রিকায় সুপরিচিত। ২৫ বছর বয়সী তানজানিয়ান তরুণ নুরুদ্দিন বলেন, আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক চীনা চলচ্চিত্র ও টিভি নাটক উপভোগ করেছি। কংফু চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আমি ও পরিবারের সদস্যরা চীনের টিভি নাটক দেখতে পছন্দ করি।
সেনেগালের ডাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইব্রাহিমা ডায়র মনে করেন, কয়েক বছর আগের তুলনায় চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে সেনেগালের তরুণদের জানাশোনা অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, চীনা ভাষা জানা মানুষের সংখ্যা যতো বাড়বে, চীনের সংস্কৃতি ততো বেশি মানুষের কাছে সুপরিচিত হবে এবং জনপ্রিয়তা পাবে।
ইথিওপিয়ান যুবক হাবুতাম ভোল্কু বলেন, চীন সম্পর্কে তার জ্ঞান প্রধানত এসেছে ইথিওপিয়ায় চীনের বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো নির্মাণের কার্যক্রম থেকে। তিনি বলেন, ‘ইথিওপিয়ায় চীনের বিনিয়োগকারী কোম্পানি ব্যাপক অবকাঠামো নির্মাণ কাজ করছে, এর মধ্যে রয়েছে নির্মাণাধীন আফ্রিকান রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের সদর দপ্তর, আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তর, আদ্দিস আবাবা-জিবুতি রেলওয়ে এবং আদ্দিস আবাবা সিটি লাইট রেল ট্রান্সিটসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় অবকাঠামো প্রকল্প।’
সেনেগালের ডাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদু সেক সেনেগাল-চীন সম্পর্কের দ্রুত বিকাশে সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, চীন সেনেগালকে অনেক সাহায্য দিয়েছে এবং আরো উন্নয়ন অর্জনে বরাবরই সেনেগালকে সমর্থন দেয়।
বতসোয়ানা স্কুল অফ অ্যাকাউন্টিংয়ের ছাত্র কিদেতাই বলেন, আফ্রিকান অবকাঠামো নির্মাণে চীনের সহায়তা দেখে তরুণ আফ্রিকানরা গভীরভাবে মুগ্ধ। ‘আমরা চীনের বন্ধুত্ব এবং সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞ। আমি মনে করি, চীনের সাহায্যে আফ্রিকান দেশগুলো আরো স্বাধীন হয়েছে।’
জনমত জরিপের সংগঠন ‘আফ্রিকান ব্যারোমিটার’-এর উদ্যোগে ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আফ্রিকায় চীনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাবকে বেশিরভাগ উত্তরদাতারা একটি ভাল ব্যাপার হিসাবে বিবেচনা করেন। ১৮ টি আফ্রিকান দেশের প্রায় ২৬ হাজার আটশ উত্তরদাতা এ জরিপে অংশ নিয়েছিলেন। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী উত্তরদাতার মধ্যে, প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতারা বিশ্বাস করেন যে, আফ্রিকায় চীনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক’ বা ‘খুব ইতিবাচক’।