আফ্রিকান তরুণ-তরুণীদের চোখে চীন-China Radio International
বর্তমানে আফ্রিকায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তরুণ জনগোষ্ঠী আছে। তরুণ আফ্রিকানদের কাছে চীন কেমন? সিনহুয়া বার্তা সংস্থার সাক্ষাত্কার থেকে দেখা যায় যে, অনেক আফ্রিকান যুবক শুধু কুংফু তারকাদের সঙ্গেই পরিচিত নয়, বরং তারা চীনা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকের প্রতিও গভীর আগ্রহী। তারা সাধারণত চীনের তৈরি ইলেকট্রনিক পণ্য, যেমন মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটারসহ বিভিন্ন দ্রব্য পছন্দ করে। চীনের প্রতি তারা খুব আগ্রহী, তাদেরকে সহায়তা দেওয়ার জন্য চীনের প্রতি তারা কৃতজ্ঞ এবং আফ্রিকা-চীন বন্ধুত্বকে তারা অনেক গুরুত্ব দেয়। চীনের উন্নয়নে আফ্রিকা তথা বিশ্ব উপকৃত হবে বলে তারা বিশ্বাস করে।
ক্লিফোর্ড এমবোয়া, একজন তরুণ কেনিয়ান। যিনি চীন-আফ্রিকা সম্পর্ক, গণ-কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করেন। চীনে আসার আগে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারনেটে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন এবং নানা খবর পড়েছেন। চীন ও চীনা মানুষ সম্পর্কে তিনি আরও বেশি জানতে চান। তিনি বলেন, তার জানা বেশিরভাগ তথ্য ছিল নেতিবাচক। সৌভাগ্যবশত, আমার কিছু চীনা বন্ধুর কারণে চীনকে বস্তুনিষ্ঠভাবে জানতে সক্ষম হয়েছি।
ফুতান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি পাওয়া এমবোয়া বলেন, ‘চীন প্রসঙ্গে আমার আগের জানাশোনার চেয়ে সত্যিকার চীন অনেকটাই আলাদা। সেখানে সব কিছু আশ্চর্যজনক।’ বিশ্বের যে কোনও দেশের মতো চীনও তার নিজস্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তবে, চীন সরাসরি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় এবং নিজের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য হৃদয় দিয়ে পরিশ্রম করে থাকে। আমি চীনা জনগণের লড়াইয়ের মনোভাব এবং স্বপ্ন অনুসরণে বাস্তব পদক্ষেপের প্রশংসা করি।’
তিনি বলেন, যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে চীন প্রসঙ্গে জানতে শুরু করেন এবং পুরো চীন কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে পারেন, আপনি তাদের সংস্কৃতি ও কাজ করার পদ্ধতির প্রশংসা করবেন। আপনি বুঝতে পারবেন যে, কেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিসি’র নেতৃত্বে চীন এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।