আফ্রিকান তরুণ-তরুণীদের চোখে চীন-China Radio International
এমবোয়া বলেন, চীনের উন্নয়নের পথ, সংস্কৃতি ও কাজের ধরন চিত্তাকর্ষক। ‘কোনও দেশ কাজ না করে কোনও কিছু অর্জন করতে পারে না। এর পেছনের বিভিন্ন প্রচেষ্টা আপনি কল্পনা করতে পারেন।’
বতসোয়ানার কলেজ অফ অ্যাকাউন্টিংয়ের ছাত্র কিউডাইতাই বলেন, পশ্চিমা মিডিয়ায় চীন সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য প্রচারের কারণে আফ্রিকার অনেক তরুণ প্রাথমিকভাবে মনে করতো যে, আফ্রিকায় চীনের সহায়তার অন্যান্য উদ্দেশ্য আছে। তবে, সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনের প্রতি তাদের মনোভাব পরিবর্তন হয়েছে। চীনের প্রতি জনগণের আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘চীনারা বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমী জাতি। অনেক ক্ষেত্রে চীন এগিয়ে গেছে।’
কোনো কোনো আফ্রিকান তরুণ মনে করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ক্রমবর্ধমান সার্বিক জাতীয় শক্তি অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তারা আনন্দের সাথে দেখতে পান যে, বড় দেশ হিসেবে চীন বিশ্বশান্তি বজায় রাখে এবং আফ্রিকা ও বৈশ্বিক উন্নয়ন বেগবানে সাহায্য করে থাকে।
চীনের সার্বিক রাষ্ট্রীয় শক্তি জোরদার হওয়া এবং আফ্রিকা ও চীনের বিনিময় গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আফ্রিকান তরুণদের চীন সম্পর্কে জানাশোনার পদ্ধতিও ধাপে ধাপে বাড়ছে। চীনের অর্থনীতি উন্নয়ন বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে অর্জিত সাফল্য নিয়ে তারা বিস্মিত।
আফ্রিকান যুবকরা চীনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট কোম্পানি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। যেমন, হুয়াওয়েই, লেনোভো, সিয়াওমি, টেনসেন্ট প্রভৃতি। তারা চীনের সেলফোন ও ট্যাবলেটসহ চীনের উত্পাদিত ইলেকট্রনিক পণ্য বেশ পছন্দ করে।
তানজানিয়ার তরুণ উইলিয়াম ডগলাস বলেন, চীনের কথা উল্লেখ করলে চীনের উত্পাদিত নানা সস্তা তবে ভালো গুণগত মানের পোশাক, খেলনা, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি, নির্মাণসামগ্রী এবং যন্ত্রপাতির নাম মনে পড়ে। তানজানিয়ায় হুয়াওয়েই এবং অপ্পো সেলফোন অনেক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড বলে তিনি উল্লেখ করেন।