key of life-China Radio International
তিনি আগের মতো প্রতিদিন বাড়িতে থাকেন এবং বাড়িঘর এলোমেলো করে ফেলেন। তার জীবন আবারও খারাপ হয়ে ওঠে।
আকস্মিক এক সুযোগে খুনি হিসেবে ইংচিংয়ের পরিচয় প্রকাশ পেয়ে যায়। যেহেতু কেউ চিনথেংয়ের আসল চেহারা দেখে নি, সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই ইংচিংকে খুনি হিসাবে ধরে নেওয়া হয়।
বন্ধুরা, এ গল্পের পরিণতি কি হবে? জানতে আগ্রহী হলে নিজেই চলচ্চিত্রটি দেখুন।
আমরা এখন ‘key of life’ চলচ্চিত্রের নামকরণের ওপর দৃষ্টি দেবো। স্নানাগারে ইংচিং চিনথেংয়ের আলমারির চাবি চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে চিনথেংয়ের পরিচয়ও ছিনিয়ে নেন। তবে তিনি অনেক অর্থ পেলেও জীবনের স্বপ্নের কাছাকাছি যেতে পারেন নি।
আসলে জীবনের গতি পরিবর্তনের চাবি হলো জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা। অর্থ-বিত্ত-বৈভব মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে সাহায্য করে মাত্র।
জীবন ও জগৎ সম্পর্কে ভালো ও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি হলো মানুষের সবচে শক্তিশালী অস্ত্র।
এই জগতে নানা পার্থক্য থাকলেও বিভিন্ন মানুষ একই পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে থাকে। বিভিন্ন মানুষের নানা ধরনের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি মূলত এই আলাদা আচরণের গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালিত করে থাকে।
ব্যর্থতায় পড়লে আমরা কী করব? আমরা কি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব? সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজব? নাকি শুধু অন্যের বিরুদ্ধে সবসময় অভিযোগ করতে থাকব? এটি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে আপনার জীবনের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর।
ইতিবাচক ও পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে ভূমিকা রাখলে অবশেষে অবশ্যই সৌভাগ্য আপনার কাছে চলে আসবে। এটাই হলো ‘key of life’ চলচ্চিত্রটির দর্শক সমাদর পাওয়ার প্রধান কারণ। এতে চমৎকার একটি গল্পের পাশাপাশি রয়েছে সক্রিয় একটি মূল্যবোধ।
সাধারণত দেখা যায়, সব মানুষ টাকার জন্য কাজ করে থাকে। চিনথেং নিজেও আসলে আগে সাধারণ কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকত। স্ত্রী তাকে ছেড়ে ধনী মানুষকে বিয়ে করেছিল। এজন্য সে ঝুঁকি নিয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডে খুনি হিসেবে কাজ করা শুরু করে। তার উদ্দেশ্য ছিল আরো বেশি টাকা উপার্জন করা। ইংচিং গরীব হয়ে পড়ে ও অনেক ঋণ নেয়।