key of life-China Radio International
চীনা পঞ্জিকার গত বছর মাত্র শেষ হয়েছে। এখন চলছে বসন্ত উৎসবের ছুটি। এসময় চীনে ‘Endgame’ নামে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এ চলচ্চিত্রটি ‘key of life’ নামে একটি জাপানি চলচ্চিত্রের রিমেক। ‘key of life’ চলচ্চিত্র জাপানের অস্কার পুরস্কার হিসেবে পরিচিত ‘অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের’ সেরা চিত্রনাট্য পুরষ্কার অর্জন করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘key of life’ চলচ্চিত্রটি অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার কমেডি চলচ্চিত্রের বক্স-অফিসের আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড তৈরি করে। তাই বলা যায়—জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া বা চীন, যাই হোক না কেন, যে কোনো দেশের চলচ্চিত্রে চমৎকার একটি গল্প তুলে ধরা হলে তা সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
‘key of life’ চলচ্চিত্রটিতে জীবন বিনিময়ের গল্প বলা হয়।
এই চলচ্চিত্রে ইংচিং একজন সাধারণ অভিনেতা; তার তেমন কোনো পরিচয় নেই। তার কাজকর্মের কোনো অগ্রগতি হচ্ছিল না, মেয়েবন্ধুটিও তাকে ছেড়ে চলে যায়। তার জীবন একদম ব্যর্থ হয়ে পড়ে! ৩৫ বছর বয়সে সে খুব সস্তা একটি ভাড়া বাড়িতে বাস করতে থাকেন। জীবন খুব এলোমেলো হয়ে ওঠে। একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন।
একদিন আবারও তার মনে আত্মহত্যার ইচ্ছা জেগে ওঠে। পকেটে তিনি একটি বাথহাউসের টিকিট খুঁজে পান। আত্মহত্যার আগে তিনি শেষবার গোসল করার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে, চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় চরিত্র চিনথেং মূলত খুনি হিসেবে কাজ করতেন। আন্ডারওয়ার্ল্ডের একজন খুনি হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। ইংচিং যেদিন স্নানাগারে গোসল করতে যায়, তিনিও সেদিন গোসল করতে যান। তখন দুর্ঘটনাক্রমে সাবানের উপর পা দিয়ে পিছলে পড়ে যান ও অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি।
নানা বিশৃঙ্খলার মধ্যে ইংচিং ও চিনথেংয়ের গোসলখানার লকারের কার্ড অদলবদল হয়ে যায়। আমরা জানি, স্নানাগারে নিজের কাপড় ও জিনিসগুলো রাখার জন্য আলাদা আলাদা আলমারি থাকে। আর ওই লকারের কার্ডটি হলো আলমারি খোলার চাবি।