key of life-China Radio International
এভাবে ভাগ্যের গিয়ার কাজ শুরু করে। ইংচিং চিনথেংয়ের ভান করে বিলাসী জীবন কাটাতে শুরু করে। সে একটি ম্যানশনে বাস করেন এবং দামী গাড়ি চালায়। খুব সহজেই তিনি সব ঋণ পরিশোধ করে দেন।
এদিকে জ্ঞান ফেরার পর মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার কারণে চিনথেং সব স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন। তিনি ইংচিংয়ের পরিচয় গ্রহণ করতে বাধ্য হন।
যখন চিনথেং ইংচিংয়ের নোংরা ভাড়া বাড়িতে ফিরে আসেন, তখন তিনি হতবাক হয়ে যান। তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে, আগে কেন তিনি এত ব্যর্থ জীবন কাটাতেন!
স্মৃতি হারালেও তার ভালো অভ্যাস পরিবর্তন হয় নি।
চিনথেং বাড়ি পরিষ্কার করেন এবং নিজেরও যত্ন নিতে শুরু করেন।
তিনি বুঝতে পারেন, স্মৃতি হারানোর আগে তিনি অভিনয় শিল্পী হিসেবে কাজ করতেন। তাই মনোযোগ দিয়ে অভিনয় শেখা শুরু করেন। থিয়েটারে যাওয়া,অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া শুরু করেন তিনি। লাইব্রেরি থেকে অভিনয়বিষয়ক অনেক বইও নিয়ে আসেন তিনি।
আরও কিছু অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি পার্ট-টাইম চাকরি খুঁজে নেন।
খুব অল্প সময়ে তার জীবন ভালো দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে।
শুরু তাই নয়, চিনথেং আকস্মিকভাবে ভালোবাসাও পেয়ে যান। তিনি সিয়াংমিও নামে এক নারীর সঙ্গে পরিচিত হন। সিয়াংমিও একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক। তিনি কখনও প্রেমে পড়েন নি। স্বামী বাছাইয়ের মানদণ্ড আর তার কর্মী নিয়োগের মানদণ্ড একই। অর্থাত্ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও পরিশ্রমী মানুষ। চিনথেংয়ের সঙ্গে সব কিছু মিলে যাবার পর তিনি তাকে ভালোবেসে ফেলেন। বেশি টাকা না থাকলেও চিনথেং ভালো জীবন গঠনের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালান। সবার মনে এবার একটি সন্দেহ জেগে ওঠে। তা হলো এত ভালো একজন মানুষের জীবন আগে কেন এত ব্যর্থ ছিলো?
চলচ্চিত্রের এ পর্যায়ে এসে দর্শকেরা অবশ্যই এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
অন্যদিকে বিপুল টাকা হাতে পেলেও কীভাবে এসব টাকা খরচ করা যাবে—ইংচিং তার কিছুই বুঝতে পারেন না।