কেন চীন লাতিন আমেরিকায় ব্যাপক স্বীকৃতি পাচ্ছে?
চীন এবং ব্রাজিল বুধবার ঘোষণা করেছে আরও ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় দু’দেশের সম্পর্ককে একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের চীন-ব্রাজিল সম্প্রদায়ে উন্নীত করা হবে। ব্রাজিলে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সদ্যসমাপ্ত সফরে দুই দেশ কৃষি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৩০টিরও বেশি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ব্রাজিলে রাষ্ট্রীয় সফরকালে প্রেসিডেন্ট সি বলেছেন, চীন-ব্রাজিল সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বোত্তম পর্যায়ে রয়েছে, যা শুধুমাত্র দুই দেশের জনগণের মঙ্গলই সাধন করেনি বরং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাধারণ স্বার্থ রক্ষা করেছে, গ্লোবাল সাউথের শক্তি ও কণ্ঠস্বরকে উন্নত এবং উচ্চকিত করেছে, বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রেখেছে।
বুধবারের সিদ্ধান্ত চীন-ব্রাজিল সম্পর্কের সহযোগিতামূলক প্রকৃতি এবং বিশ্বের সাধারণ উন্নয়নকে যৌথভাবে উন্নীত করার জন্য দুই দেশের সংকল্পকে প্রতিফলিত করে।
চীন টানা ১৫ বছর ধরে ব্রাজিলের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার এবং ব্রাজিলে বিদেশী বিনিয়োগের একটি প্রধান উৎস। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত তিন বছরে ব্রাজিল থেকে চীনের বার্ষিক আমদানি ১০০ বিলিয়ন ডলারের উপরে রয়েছে।
দু’দেশের ভৌগোলিক দূরত্ব আনুমানিক ১৮ হাজার ৮০০ কিলোমিটার হলেও উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক শাসনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। জাতিসংঘ, জি-২০, বিআরআইসহ অন্যান্য বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়ার মধ্যে তাদের সমন্বয় আরও ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
সম্পর্কের উচ্চতা লাতিন আমেরিকায় চীনের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও প্রদর্শন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ওই অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক কমিশনের সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, চীন শুধুমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদারই নয়, লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানের জন্য দ্রুত বর্ধনশীল রপ্তানি বাজারও।