বাংলা

চীনের তথাকথিত ‘ঋণ ফাঁদ’ প্রকৃতপক্ষে একটি পশ্চিমা ‘অপপ্রচার ফাঁদ’

CMGPublished: 2024-09-15 19:09:37
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীনের আর্থিক সম্পৃক্ততা এলএসি এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত চাহিদা মেটাতে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে, যা ঐতিহ্যগত আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অদক্ষতা এবং কার্যকারিতার অভাবকেও প্রতিফলিত করে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন ব্রাজিলিয় এই গবেষক।

চায়না-লাতিন আমেরিকা আর্থিক ডাটাবেস অনুসারে, ২০০৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চীনের ঋণ এলএসিতে অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে বহুলাংশে সমর্থন করেছে।

ব্যারোস বলেন, “চীনা অর্থায়ন আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক। উদাহরণস্বরূপ, ইকুয়েডর একসময় বিদ্যুৎ আমদানির উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু চীনের সহায়তায় একাধিক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে, এর ফলে দেশটি উল্লেখযোগ্যভাবে বিদ্যুতের ঘাটতি ও আমদানি কমাতে পেরেছে।”

আন্দিয়ান কমিউনিটির মহাসচিব গঞ্জালো গুতেরেস বলেছেন যে, “চীন কেবল ঋণই দিচ্ছে না বরং সরাসরি বিনিয়োগও করছে, যা এই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে। প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ তা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ায়।”

লাতিন আমেরিকা এবং চীনের ক্যারিবিয়ান নেটওয়ার্কের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এলএসিতে চীনের সহযোগিতাপুষ্ট প্রকল্পে ৭ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

চাইনিজ একাডেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের লাতিন আমেরিকা ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক ইউ ইউনজিয়া বলেছেন, চীন-এলএসি আর্থিক সহযোগিতা, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার উদাহরণ হিসাবে, সংহতি এবং পারস্পরিক সুবিধার নীতিগুলোকে মূর্ত করে।

তিনি বলেন, “পশ্চিমা ঋণ পেতে প্রায়শই এলএসি দেশগুলোর জন্য পশ্চিমা মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কার বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা থাকে। বিপরীতে, চীনের ঋণ রাজনৈতিক শর্ত আরোপ না করেই অভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যের উপর ফোকাস করে।”

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn