চীনের তথাকথিত ‘ঋণ ফাঁদ’ প্রকৃতপক্ষে একটি পশ্চিমা ‘অপপ্রচার ফাঁদ’
চীন এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান (এলএসি) দেশগুলো তাদের ব্যাপক সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করে চলেছে। বিপরীতক্রমে পশ্চিমা দেশগুলো চীনের তথাকথিত ‘ঋণ ফাঁদ’ তৈরির অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এ অপপ্রচারকে দু’পক্ষের মধ্যে স্বাভাবিক সহযোগিতা ব্যাহত করার প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
সম্প্রতি বেইজিংয়ে চীন-লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান (এলএসি) উন্নয়ন ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হন্ডুরাসের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরার্ডো টরেস চীনা গণমাধ্যমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারে বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা শক্তিগুলোর দ্বারা প্রচারিত ‘ঋণের ফাঁদ’ আখ্যান ‘অত্যন্ত ভণ্ডামিপূর্ণ’।
চীন-এলএসি জয়-জয় সহযোগিতা ওই অঞ্চলের উন্নয়নের চাহিদার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত বলে উল্লেখ করে টরেস বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর চীনের তথাকথিত ‘ঋণ ফাঁদ’ বিষয়ক সমালোচনা করার নৈতিক অবস্থান নেই, কারণ এক সময় ওই অঞ্চলের প্রধান ঋণদাতা হিসাবে তাদের ঐতিহাসিক ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি পশ্চিমা ঋণদাতাদের কাছে এলএসি দেশগুলোর বিপুল ঋণের উল্লেখ করে বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে, পশ্চিমা দেশগুলো ঋণের মাধ্যমে তাদের আর্থিক মানদণ্ড আরোপ করেছে যা কখনোই ওই অঞ্চলকে সত্যিকারের উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করেনি।”
ব্রাজিলের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাপ্লায়েড ইকোনমিক রিসার্চের গবেষক পেড্রো ব্যারোস, চীনের তথাকথিত ‘ঋণ ফাঁদ’ আখ্যানকে পশ্চিমাদের বাগাড়ম্বরপূর্ণ অপপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ব্যারোস স্পষ্ট করে বলেন, “দশকের পর দশক ধরে, পশ্চিমা দেশগুলো ঋণের মতো একটি আর্থিক হাতিয়ারের অপব্যবহার করেছে, তারা এলএসিতে গণতন্ত্র এবং উন্নয়নকে দুর্বল করেছে। এখন, তারা চীনকে একই কাজ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। কিন্তু অতীতে পশ্চিমাদের অপব্যবহারগুলো ঋণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, সেটি একটি ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল যা শতাব্দী ধরে অব্যাহত ছিল।”