বাংলা

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা এবং বন্যা মোকাবিলা ও নদী শাসনে করণীয়

CMGPublished: 2024-09-06 10:43:37
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বন্যা মোকাবিলার পদ্ধতি

বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু দেশের ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে বন্যা মোকাবিলায় বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন। যেমন:

১. ফ্লাড ওয়ার্নিং সিস্টেম: বাংলাদেশে বন্যার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ সিস্টেম চালু রয়েছে। বন্যার আশঙ্কা থাকলে আগাম সতর্কবার্তা প্রদান করা হয়, যা জনগণকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে সহায়তা করে।

২. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নদী ও বাঁধ নির্মাণ করে বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বাঁধগুলো নির্মাণ করে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়, তবে অনেক ক্ষেত্রেই বাঁধের উচ্চতা বা মান পর্যাপ্ত না হওয়ার কারণে এই পদ্ধতি সবসময় কার্যকর হয় না।

৩. পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন: পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নয়ন করে বন্যার পানি দ্রুত সরানোর চেষ্টা করা হয়। শহরাঞ্চলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও গ্রামাঞ্চলে খাল কেটে পানি নিষ্কাশনের পদক্ষেপ আরও কার্যকর করা দরকার।

৪. ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম: বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন ও ত্রাণ কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে পরিচালিত করতে হয়। ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার, ওষুধ, এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

নদী শাসনে করণীয়

বাংলাদেশে নদী শাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ দেশের বেশিরভাগ বন্যা সমস্যার মূলে রয়েছে নদীর অতিরিক্ত পানি প্রবাহ ও অপ্রতুল শাসন। নদী শাসনের কিছু পদক্ষেপ তুলে ধরছি।

১. নদী খনন ও ড্রেজিং: বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীর গভীরতা ও প্রশস্ততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিতভাবে নদী খনন বা ড্রেজিং করে নদীর পানির ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে, যাতে অতিরিক্ত পানি সহজে প্রবাহিত হতে পারে।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn