বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা এবং বন্যা মোকাবিলা ও নদী শাসনে করণীয়
২. নদী তীর সংরক্ষণ: নদী ভাঙন রোধে নদীর তীর সংরক্ষণ করতে হবে। বিশেষ করে যেখানে নদী ভাঙনের ঝুঁকি বেশি, সেসব এলাকায় শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ এবং গাছপালা রোপণ করে ভাঙন প্রতিরোধ করতে হবে।
৩. বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ: দেশে অনেক বাঁধ থাকলেও অনেকগুলো জরাজীর্ণ হয়ে গেছে এবং প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কার্যকারিতা হারিয়েছে। এসব বাঁধের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন এবং নতুন বাঁধ নির্মাণের সময় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
৪. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: বাংলাদেশে বন্যা অনেকাংশেই পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর নদী থেকে আগত পানির কারণে হয়। এ জন্য পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং চুক্তি করে নদীর পানি বণ্টন ও প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
৫. নদীজল সংরক্ষণ: বন্যার সময় অতিরিক্ত পানি সংরক্ষণ করা বা ব্যারেজ নির্মাণ একটি কার্যকর পদ্ধতি। পর্যাপ্ত পরিমাণে জলাধার, বাঁধ এবং খাল খননের মাধ্যমে বন্যার পানি সংরক্ষণ করা সম্ভব, যা পরবর্তী সময়ে সেচের কাজে ব্যবহার করা যায়।
শেষ কথা:
বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি উন্নয়নে সুষ্ঠু নদী শাসন অপরিহার্য। নিয়মিত নদী খনন, বাঁধ নির্মাণ, এবং পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের মতো কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে বন্যার প্রভাব হ্রাস করা সম্ভব। সরকারের পাশাপাশি জনগণের অংশগ্রহণ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
মোহাম্মদ তৌহিদ, সিএমজি বাংলা।