চীন-ভিয়েতনাম বন্ধুত্ব সতেজ ছিল ও থাকবে
আগস্ট ২১: দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ককে যখন ‘কমরেড ও ভাই’ বলে ডাকা হয়, তখন চীন ও ভিয়েতনামের কথা মনে আসা স্বাভাবিক। প্রতিবেশি হিসেবে চীন ও ভিয়েতনাম একে অপরের উন্নয়নে কাজে লেগেছে ও লাগছে এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখেছে ও শিখছে। গত বছরের শেষ দিকে দুই দেশ অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার যৌথ ঘোষণা দেয়। আর এর মাধ্যমে, উভয় দেশ ও পার্টির সম্পর্ক, বিকাশের নতুন একটি পর্যায়ে প্রবেশ করে। বর্তমানে দু’দেশ, উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সময়কালে, নিজেদের বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়াস পেয়েছে। এমনি এক প্রেক্ষাপটে, গত ১৮ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত, চীন সফর করেন ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দেশটির প্রেসিডেন্ট তো লাম।
ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদ গ্রহণের পর এটি ছিল তো লামের প্রথম বিদেশ সফর। এতে বোঝা যায়, চীন-ভিয়েতনাম দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মান উচ্চ এবং এ সম্পর্ক দু’দেশের কাছে কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ। তো লামের সাথে গত ১৯ আগস্ট চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আলোচনা করেন। এ সময় চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়: চীনের কূটনীতিতে ভিয়েতনাম অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে; উভয় পক্ষের কৌশলগত চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ার কাজ এগিয়ে নেওয়া উচিত; এবং ছয়টি উন্নয়ন-প্যাটার্নের ওপর জোর দেওয়া উচিত। ভিয়েতনাম পক্ষ জানায়: দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে চীনের অবস্থান কৌশলগত কারণে শীর্ষে আছে; দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গভীরতর করা হবে; এবং চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ার কাজ এগিয়ে নিতে হবে।
বর্তমানে চীনা শৈলীর আধুনিকায়নের জন্য কাজ করছে চীন। পাশাপাশি, ব্যাপকভাবে নিজেকে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চীন। এদিকে, ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে, আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার চেষ্টা করছে ভিয়েতনাম। বস্তুত, এখন চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার ঠিক সময়। দু’দেশের জনগণের প্রত্যাশাও তাই।