চীন-ভিয়েতনাম বন্ধুত্ব সতেজ ছিল ও থাকবে
পারস্পরিক রাজনৈতিক বিশ্বাস, চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার ভিত্তি। চীন ও ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন দুটি সমাজতান্ত্রিক দেশ। দু’দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা, আদর্শ, বিশ্বাস, ও উন্নয়নের পথ একই রকম। জটিল ও পরিবর্তিত বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির মোকাবিলায়, চীন ও ভিয়েতনাম সমাজতন্ত্রের পথে হাত মিলিয়েছে। এটি কেবল উভয় দেশের নিজ নিজ উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের জন্য কল্যাণকর নয়, বরং বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক বিকাশেও সহায়ক।
দেশের সাথে দেশের সম্পর্ক আসলে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের মধ্যে নিহিত। চীনা সমসাময়িক চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম ভিয়েতনামের লোকেরা অনেক পছন্দ করে। অন্যদিকে, ভিয়েতনামি পপ গান চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচলিত। সম্প্রতি সরাসরি বিমান রুট, পারস্পরিক ভিসা সুবিধাসহ বিভিন্ন সহায়ক নীতি গ্রহণ করায়, প্রচুর ভিয়েতনামি পর্যটক চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের ইউননান প্রদেশ ভ্রমণে আসেন। ওদিকে, ভিয়েতনাম জাতীয় পর্যটন প্রশাসনের পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের মে মাসে ৩ লাখ ৫৭ হাজার চীনা পর্যটক ভিয়েতনাম ভ্রমণ করেন। চীন আবারও ভিয়েতনামের বৃহত্তম পর্যটক-উত্সে পরিণত হয়েছে।
ভবিষ্যতে, চীন ও ভিয়েতনাম জাতিসংঘ, আসিয়ান ও ল্যাঙ্কাং-মেকং সহযোগিতার মতো বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার অধীনে, সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করবে; চীনের প্রস্তাবিত তিনটি প্রধান বৈশ্বিক উদ্যোগের কাঠামোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা উন্নত করবে; এবং সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমেরুর বিশ্বের জন্য কাজ করে যাবে। চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার মাধ্যমে দু’দেশ, বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নে আরও বেশি আবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।