পিএলএ’র শান্তি ও উন্নয়ন অন্বেষা
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, চীন প্রথম ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতি তদারকি সংস্থায় পাঁচজন সামরিক পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছিল। এরপর চীনা সামরিক বাহিনী ২০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে ৫০ হাজার জনেরও বেশি সেনাসদস্য প্রেরণ করেছে।
বর্তমানে, চীন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাজেটের দ্বিতীয় বৃহত্তম অবদানকারী এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের মধ্যে শান্তিরক্ষীদের শীর্ষ অবদানকারী। বর্তমানে প্রায় ২ হাজার চীনা সৈন্য ছয়টি শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছে।
পিএলএ’র একজন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র কর্নেল চাও সি আওচৌ মনে করেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যুক্ত হওয়া চীনা সামরিক বাহিনীর জন্য বিশ্বশান্তি বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
২০০১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করা চাও বলেন, “চীনা শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রধানত নিরাপত্তা, প্রকৌশল, পরিবহন এবং চিকিৎসা ইউনিটে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ফ্রন্টলাইনে কাজ করে। তাই, তারা অবকাঠামো এবং চিকিৎসা পরিস্থিতির উন্নতির মাধ্যমে স্থানীয় উন্নয়নেও অবদান রাখে।”
তিনি বলেন, “চীনের সামরিক বাহিনী শক্তিশালী হয়েছে, এবং আমরাও আশা করি বিশ্বকে একটি ভালো জায়গা করে তুলতে আমাদের ভূমিকা পালন করবে।”
২০১৫ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সম্মেলনে, প্রেসিডেন্ট সি ৬টি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছিলেন, যা বাস্তবায়নে চীন সহযোগিতা দিয়েছে। ৮ হাজার সৈন্যের একটি শান্তিরক্ষা স্ট্যান্ডবাই বাহিনী গঠন এবং ৬০টিরও বেশি দেশের দেড় হাজারের বেশি শান্তিরক্ষীকে ২০টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রদানসহ ছয়টি পদক্ষেপের সবকটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়েছে।
সিপিসির সেন্ট্রাল পার্টি স্কুলের আন্তর্জাতিক কৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক চাও লেই বলেছেন, শান্তিরক্ষা হচ্ছে চীনের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার একটি সুনির্দিষ্ট প্রকাশ। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, শান্তিরক্ষা হচ্ছে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমাজের কল্যাণে চীনের অবদান।