পিএলএ’র শান্তি ও উন্নয়ন অন্বেষা
চীনের গণমুক্তি ফৌজ (পিএলএ) যখন ৯৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করছে, সেই মুহূর্তে এর নৌ-হাসপাতাল জাহাজ পিস আর্ক তার ১০তম ‘মিশন হারমনিতে’ এশিয়া এবং আফ্রিকা জুড়ে ১৩টি দেশের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। একই সময়ে, প্রায় ২ হাজার চীনা সামরিক সদস্য বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করছে।
প্রতিষ্ঠার প্রায় এক শতাব্দী পর, পিএলএ আগের চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং ২০২২ সালে সিপিসির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসে তার রিপোর্টে বলেছেন, পিএলএ “বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে বৃহত্তর অবদান রাখার আস্থা ও সক্ষমতা রাখে।”
শান্তির জন্য মিশন শুরু করা সবসময়ই চীনা সামরিক বাহিনীর একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।
২০১৭ সালে পিএলএ’র ৯০তম বার্ষিকী উদযাপনে, চীনের প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান সি বলেন, দেশের সামরিক বাহিনী আন্তর্জাতিক সামরিক বিনিময় এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে, যৌথভাবে বৈশ্বিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে এবং সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করবে, এবং এ বাধ্যবাধকতাগুলো চীনের আন্তর্জাতিক মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার ফলে মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যতসহ একটি সম্প্রদায় গড়ে তুলতে অবদান রাখবে।
পিএলএ’র ৯৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে, বুধবার বেইজিয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে, চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তং চুন বলেছেন, চীনা সামরিক বাহিনী অন্যান্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সাথে বাস্তবমুখী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতায় জড়িত হতে ইচ্ছুক, যা হবে ন্যায্যতার দ্বারা চিহ্নিত একটি নিরাপত্তা কাঠামো এবং যা ন্যায়বিচার এবং যৌথ নির্মাণ এবং ভাগাভাগির, স্থায়ী শান্তি এবং সার্বজনীন নিরাপত্তার একটি বিশ্ব তৈরি করবে।