বাংলা

সংবাদ পর্যালোচনা: চীনের চন্দ্রাভিযানে ছাংএ-৬ বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে

CMGPublished: 2024-06-29 17:48:39
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এর আগে গত ৪ঠা জুন চীনের ছাংএ্য-৬ প্রোবটি চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে উড্ডয়ন করে। নমুনা সংগ্রহের পর ল্যান্ডারটির বহন করা একটি চীনা জাতীয় পতাকা চাঁদের দূর দিকে প্রথমবারের মতো প্রদর্শন করা হয়। তার আগের দিন অর্থাৎ ৩ জুন চাঁদের দূরবর্তী পূর্বনির্বাচিত অবতরণ এলাকায় চীনের ছাংএ্য-৬ চাঁদ অনুসন্ধানকারী যান সফলভাবে অবতরণ করেছিল। এটি চীনের মহাকাশ অনুসন্ধান এবং মানবজাতির শান্তিপূর্ণ মহাকাশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।

মূলত, চাঁদের নমুনা বলতে সাধারণত "লুনার রেগোলিথ" বোঝায়। যা চাঁদের পৃষ্ঠের ওপরের স্তর- বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে গঠিত। এতে আছে চূর্ণ পাথর ও চূর্ণ শিলা। আছে মিনারেলস তথা সিলিকা, এলুমিনিয়া, আয়রন অক্সাইড, ম্যাগনেসিয়া, এবং ক্যালসিয়াম অক্সাইড। আরও আছে মাইক্রোমেটিওরয়েডের আঘাতে সৃষ্ট গ্লাস পার্টিকলস, যা লুনার রেগোলিথের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ।

উল্লেখ্য যে, চীন মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং বর্তমান বিশ্বে অন্যতম প্রধান মহাকাশশক্তি হিসেবে পরিচিত। চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (CNSA), বিভিন্ন সফল মিশন পরিচালনা করেছে, যা চীনকে মহাকাশ গবেষণায় শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে নিয়ে এসেছে। চীনের মহাকাশ অভিযানের মধ্যে চাঁদ অনুসন্ধানের কিছু উল্লেখযোগ্য মিশন সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

ছাংএ্য মিশন চীনের চাঁদ অভিযান প্রকল্প; যা চাঁদের দেবী ছাংএ্যর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। এই প্রোগ্রামের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিশন পরিচালনা করা হয়। ছাংএ্য-১ উৎক্ষেপণ করা হয় ২৪ অক্টোবর, ২০০৭ সালে। যা চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে চাঁদের মানচিত্র তৈরি করে। ছাংএ্য-২ উৎক্ষেপণ করা হয় ১লা অক্টোবর, ২০১০ সালে। এ মিশনে চাঁদের পৃষ্ঠের আরও বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি এবং গভীর মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এরপর ছাংএ্য-৩ ২০১৩ সালের ১লা ডিসেম্বর উৎক্ষেপণ করা হয়। যা চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ এবং রোভারের মাধ্যমে সরাসরি চাঁদের নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn