অগ্রগতি অর্জন করেছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র মাদক নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর ৩০ জানুয়ারি চীন-যুক্তরাষ্ট্র মাদক নিয়ন্ত্রণ সহযোগিতা গ্রুপ চালু করা হয়েছিল। উভয় পক্ষ বাস্তব নিয়ন্ত্রণ, তথ্য বিনিময়, কেস সহযোগিতা এবং মাদক সম্পর্কিত লন্ডারিংসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিচ্ছে এবং দৃশ্যমান ফলাফল পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের তিনটি ফেন্টানাইল প্রেকুরসুর বিষয়ে বলা হয়েছে, চীন এগুলোকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কয়েক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আইনি প্রক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ করবে।
জানা গেছে, দু’দেশের মাদক সনাক্তকরণ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা স্বাভাবিক প্রযুক্তিগত বিনিময় পুনরায় শুরু করেছেন। দু’দেশের বিশেষজ্ঞরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে অনলাইন ও অফলাইনে দু’বারের মত যোগাযোগ করেছেন। এ মাসের শেষ দিকে তাঁরা আরেকবার অনলাইনে যোগাযোগ করবেন। এটি কার্যকরভাবে মাদক দমনের ক্ষেত্রে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। ওয়েই সিয়াও চুন বলেন, পরবর্তী ধাপে আমরা ভালভাবে দু’দেশের নেতাদের বৈঠকের মতৈক্য বাস্তবায়ন করবো। তিনি বলেন, পারস্পরিক সম্মান, মতভেদ নিয়ন্ত্রণ, অভিন্ন কল্যাণের সহযোগিতার ভিত্তিতে অব্যাহতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মাদক দমনের ক্ষেত্রের সংলাপ ও সহযোগিতা জোরদার করবে চীন, যাতে দু’দেশের সম্পর্কের স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়নে আরো বেশি ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করা যায়।
‘২০২৩ সালে চীনের মাদক অবস্থা ও পরিস্থিতি প্রতিবেদন’ অনুযায়ী চীনের মাদক প্রধানত বিদেশ থেকে আসে। এর সঙ্গে রয়েছে অল্প পরিমাণে দেশীয় ওষুধ উৎপাদন থেকে আসা মাদক। গত বছরে চীনে বিদেশী মাদকের অনুপ্রবেশের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনের মাদকবিরোধী কর্তৃপক্ষ মোট ২০.৫টন বিদেশী ড্রাগস জব্দ করেছে যা মোট বার্ষিক ড্রাগস বিক্রয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্তঃসীমান্ত মাদক চোরাচালান ও পাচার কার্যক্রমের পুনরুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছর চীনা জননিরাপত্তা সংস্থা মোট ১৫২জন বিদেশী মাদক পাচারকারী সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে।