চীন-রাশিয়া এক্সপো শুধু বাণিজ্য-বিনিয়োগই নয়, বন্ধুত্বও বাড়ায়
২০১৪ সালে হারবিনে প্রথম এই প্রদর্শনী শুরু হয়। এ বছর এক্সপোটি চীন-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীর সাথে মিলে গেছে। আয়োজকদের মতে, এ এক্সপোতে রাশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত রাশিয়ান উদ্যোগের একটি উল্লেখযোগ্য লাইনআপ রয়েছে।

সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের সহযোগী অধ্যাপক লিউ চুনশেং বলেন, “এক্সপোটি শুধুমাত্র দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার উদযাপনই নয়, বরং সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে এবং নতুন সুযোগ সম্প্রসারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মও এটি।”
রাশিয়ান কোম্পানি বেলিওভ প্যাস্টিলা ম্যানুফ্যাকচারের চীনা কার্যালয়ের প্রধান পাভেল সেমার্না এবারই প্রথম এক্সপোতে এসেছেন। তার কোম্পানি আপেল কেকের স্ন্যাক নিয়ে এসেছে, যা মূলত তাজা ফল দিয়ে তৈরি করা হয়।
সেমার্না বলেন, “চীনা বাজার গতিশীল এবং উন্মুক্ত, এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের সম্ভাবনাও বিশাল।”
তার কোম্পানি চীনের বিভিন্ন বাণিজ্য প্রচার ইভেন্ট, যেমন চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলাতে অংশগ্রহণ করে ব্যবসার সুযোগ নিয়েছে। প্রচারের জন্য এটি থাওবাওয়ের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছে। বর্তমানে, কোম্পানির পণ্যগুলো সাংহাই, ছেংতু এবং কুয়াংচৌস ২০টিরও বেশি চীনা শহরে সুপারমার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে।
কুনপেং বায়ো-টেকনোলজি কোং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছাং দেকুন, কোম্পানির সয়াবিন-গন্ধযুক্ত আইসক্রিম দিয়ে এক্সপো দর্শকদের মন জয় করেছেন, যা এরই মধ্যে চীনে একটি ‘ইন্টারনেট সেলিব্রিটি’ পণ্য হয়ে উঠেছে৷
তিনি দর্শকদের জানান যে, তারা সয়া-ভিত্তিক খাবারের বিস্তৃত পরিসর তৈরি করতে উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াগুলোর সাথে আধুনিক জৈবপ্রযুক্তিকে একত্রিত করেছেন।
