প্যারিসে চীন-ফ্রান্স যুব-সংলাপ প্রসঙ্গ
ফ্রান্সের সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, “৬০ বছর আগে ফ্রান্স ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ছিল স্বপ্নদর্শী ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। চীনের যে কেবল সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতা রয়েছে, তা নয়; বরং বিশ্বের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও রয়েছে। আজকাল চীন বৈশ্বিক মঞ্চে আগের যে-কোনো সময়ের তুলনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ফ্রান্স ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আর্থ-বাণিজ্যিক যোগাযোগ, মানবিক তত্পরতা, এবং যুব বিনিময়সহ বিভিন্ন সহযোগিতা আরও জোরদারের প্রত্যাশায় রইলাম। বিশেষ করে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিনিময় অব্যাহতভাবে দু’দেশের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গভীরতর করার জন্য দৃঢ় ভিত্তি সৃষ্টি করতে পারে। এবারের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে দু’জন ফরাসি সাংস্কৃতিক দূত চীনে আসেন। চীনা ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি রক্ষা ও আধুনিক বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন সম্পর্কে তাঁরা ভালোভাবে জেনেছেন, অনুভব করেছেন। দু’দেশের আরও বেশি যুবক-যুবতী সংলাপের মাধ্যমে যৌথভাবে ফ্রান্স ও চীনের মৈত্রী গভীরতর করবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতার বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষাকাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।”
ফরাসি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান বলেন, “ফ্রান্স ও চীনের যুবক-যুবতীদের পারস্পরিক আতিথেয়তা ও মৈত্রীর মাধ্যমে বিনিময় ও সহযোগিতা চালানোর বিষয়টি দেখে আমি ভীষণ আনন্দিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ফ্রান্স ও চীনের মধ্যে সহযোগিতা ও বিনিময় ক্রমশ বেড়েছে, যোগাযোও আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে বছরব্যাপী কার্যক্রম আয়োজন করেছে প্যারিস রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতি। এটা চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীর জন্য নতুন চালিকাশক্তি যোগানোর প্রচেষ্টা।”