সিএমজি সম্পাদকীয়: কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরুর পর নাউরুর প্রেসিডেন্টের প্রথম চীন সফর কী বার্তা দিয়েছে
একটি হচ্ছে বিশ্বের বড় উন্নয়নশীল দেশ, আরেকটি হচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ছোট উন্নয়নশীল দ্বীপদেশ। এ দু’টি দেশ হলো চীন ও নাউরু। দেশ দু’টির মৈত্রী ২০২৪ সালের বসন্তকালে জোরদার হয়েছে।
গত ২৪ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত নাউরুর প্রেসিডেন্ট ডেভিড রানিবোক আদেয়াং চীন সফর করেন। এটি গত জানুয়ারিতে চীন ও নাউরুর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু হওয়ার পর, দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রথম চীন সফর। গত ২৫ মার্চ বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে নাউরুর প্রেসিডেন্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, মৈত্রী কোন নির্দিষ্ট আদেশের সাথে জড়িত নয়, একবার শুরু করলে তার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকে। সহযোগিতার ক্ষেত্র বড় বা ছোট হোক না কেন, আন্তরিকতা থাকলে তা ফলপ্রসূ হবে।
প্রেসিডেন্ট আদেয়াং বলেন, ছোট-বড় যাই হোক চীন সবসময় সব দেশকে সমান চোখে দেখে, নাউরু এর উচ্চ প্রশংসা করে। একচীন নীতিতে অবিচল থাকতে এবং অব্যাহতভাবে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা গভীরতর করতে ইচ্ছুক নাউরু।
চীন সবসময় মনে করে, বড় বা ছোট, প্রবল বা দুর্বল এবং দরিদ্র বা ধনী, যাই হোক না কেন, সকল দেশকে সমান চোখে দেখা দরকার। নাউরুর লোকসংখ্যা মাত্র ১০ হাজার বেশি? ছোট এই দেশটির প্রতি সম্মান ও শিষ্টাচার প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে চীন সবার সঙ্গে সমান আচরণ করার স্পষ্ট ‘চীনা কূটনৈতিক বৈশিষ্ট্য’ তুলে ধরেছে। প্রেসিডেন্ট সি বলেন ‘দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের অনেক পুরানো বন্ধু রয়েছে, এখন আপনাদের নতুন বন্ধু হিসেবে পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত’।
এ সম্পর্কে সামোয়ার একজন সংবাদদাতা বলেন, ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো একটি বড় পরিবার। শুধু নাউরু নয়, চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করলে গোটা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল লাভবান হবে।’
গত জানুয়ারিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু থেকে মার্চে দেশটির প্রেসিডেন্টের চীন সফর পর্যন্ত, একচীন নীতি হচ্ছে চীন ও নাউরুর সম্পর্ক উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর। প্রেসিডেন্ট আদেয়াংয়ের চীন সফরকালে দু’পক্ষ পুনরায় এই নীতি সুনিশ্চিত করেছে। তিনি চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরুকে কেবল ‘ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়ানো’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তা নয়; বরং এটিকে ‘নাউরু ও চীনের সম্পর্কের উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন। এ থেকে পুনরায় স্পষ্ট যে, ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২৭৫৮ নম্বর প্রস্তাবে যে একচীন নীতি চিহ্নিত করা হয়েছে, তা ইতোমধ্যেই সারা বিশ্বের মতৈক্যে পরিণত হয়েছে।