সিএমজি সম্পাদকীয়: কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরুর পর নাউরুর প্রেসিডেন্টের প্রথম চীন সফর কী বার্তা দিয়েছে
চীন ও নাউরু উভয়েই উন্নয়নশীল দেশ, উভয়েরই দেশের উন্নয়নের দায়িত্ব রয়েছে। নাউরুর অর্থনৈতিক কাঠামো তুলনামূলকভাবে একক, এটি সম্পদের রপ্তানি ও পর্যটন শিল্পের ওপর বেশি নির্ভর করে। তবে চীনে সুসম্পূর্ণ শিল্প চেইন রয়েছে। তাই অবকাঠামো নির্মাণ এবং অর্থ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন উপায়ের মাধ্যমে নাউরুর সঙ্গে পরিপূরক সুবিধা বাস্তবায়ন করবে চীন।
চীনা পুঁজি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও পুনর্গঠন কাজের মধ্য দিয়ে নাউরুর আইভো বন্দর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হয়েছে। বন্দরটির এই আধুনিকায়নের মাধ্যমে নাউরুর মালবহন ক্ষমতা লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে, যা স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বয়ে এনেছে। ২৭ বছর বয়সী নাউরুর এক তরুণ এই বন্দরের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন ‘আমাদের এই বন্দরের উন্নয়ন ও পুনর্গঠনে সাহায্য দিতে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই’।
প্রেসিডেন্ট আদেয়াংয়ের চীন সফরকালে নাউরু আবারও চীনের সঙ্গে যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণকাজ সংক্রান্ত সহযোগিতামূলক দলিলপত্রে স্বাক্ষরকারী দেশ হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রস্তাব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বহু দেশের অর্থনৈতিক মান এবং জনসাধারণের কল্যাণ বাড়িয়েছে।
বিশাল প্রশান্ত মহাসাগর চীন ও নাউরুকে সংযুক্ত করেছে। দু’দেশই ‘গ্লোবাল সাউথে’র সদস্য। প্রেসিডেন্ট আদেয়াংয়ের চীন সফরের ইতিবাচক কার্যকারিতা এতদঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়ন মজবুত করবে, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা করবে ও এর ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করবে।