বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি থাকবে চীন
স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং অটল সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্যবসায়িক পরিবেশের প্রভূত উন্নয়ন করেছে চীন। এর মধ্য দিয়ে চীন একটি উচ্চমানের উন্নয়ন ধারারও সূচনা করেছে। এ সব কারণে দেশটি বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হয়ে থাকার পাশাপাশি, বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে থাকবে। কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা এবং জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ, সকলেই এমনটা মনে করছেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন যে, চীনের বর্তমান অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি কিছুটা ধীর হলেও, এর ভোগ-বাজারসহ বিশাল বাজারের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এবং দেশটি এখনও প্রচুর ব্যবসায়ের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। চীন সবুজ উন্নয়ন এবং প্রাণ-বিজ্ঞানের মতো উচ্চপর্যায়ের শিল্পে ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বৈশ্বিক এবং স্থানীয় উভয় উদ্যোগের জন্য আরও ব্যবসার সুযোগ নিয়ে আসবে।
তাদের মন্তব্যগুলো চীনকে নিয়ে কিছু পশ্চিমা গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুল ধারনার সম্পূর্ণ বিপরীতে অবস্থান করে। ওই সব গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বা ভাষ্যে বলার চেষ্টা করা হয়েছে যে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি বিকাশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং এর বিকাশের আর কোনও সুযোগ নেই।
গত বৃহস্পতিবার চায়না ডেইলি আয়োজিত ‘সিইও: গ্রোয়িং উইথ চায়না’ শীর্ষক ফোরামে চেদরাস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও রানী জারকাস বলেন, ‘আপনি উৎপাদন বলুন, নির্মাণ খাতের কথা বলুন কিংবা দেশটির মানুষের জ্ঞান এবং শ্রমশক্তির কথা বলুন, আমারা মনে করি, কেউ চীনকে স্থানচ্যুত করতে পারবে না।’
চীন সরকার অনেক আগে অবকাঠামোতে বিনিয়োগে একটি আশ্চর্যজনক কাজ করেছিল এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন এটি থেকে সুফল ঘরে তুলছে দেশটি।