চীন-ফ্রান্স সম্পর্কের ভিত্তি, দু’দেশের মানুষের গভীর বন্ধুত্ব ও সাংস্কৃতিক বন্ধন
কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৬০তম বার্ষিকীয় উদযাপন করছে চীন ও ফ্রান্স। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পারস্পরিক অভিনন্দনবার্তা বিনিময়, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের ভিডিও ভাষণসহ নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক এ ক্ষণটি।
এ উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট সি শনিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেন।
অভিনন্দন বার্তায় সি চিন পিং বলেন, ৬০ বছর আগে, চীন ও ফ্রান্স স্নায়ুযুদ্ধের কঠিন বরফ ভেঙ্গে জোটগত দ্বন্দ্ব মোকাবিলা করে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিল। বিশ্বের পরিস্থিতিকে সংলাপ ও সহযোগিতার সঠিক দিকে এগিয়ে নিতে তা ভূমিকা রেখেছে। ঐতিহাসিক ঘটনাটি এখনও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০তম বার্ষিকীতে দুই জনগণ এবং মানবতার কল্যাণে অবদান রাখতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। একটি নতুন ভবিষ্যত উন্মোচন করার এবং চীন-ফ্রান্সের ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও দৃঢ় ও গতিশীল করার সুযোগ হিসেবে এ ক্ষণটিকে কাজে লাগাতে চান তিনি।
কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ এ সময় পার করে বর্তমানে ফ্রান্স ইইউ-তে চীনের তৃতীয় বৃহত্তম অংশীদার, তৃতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগ উৎসদেশ, এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রযুক্তি রপ্তানিকারক দেশ। আর চীন এশিয়ায় ফ্রান্সের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যক সম্পর্কের পাশাপাশি, কয়েক দশক ধরে, চীন ও ফ্রান্সের জনগণ তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অন্বেষণে গভীর বন্ধন তৈরি করেছে।
চীন-ফ্রান্স সংস্কৃতি ও পর্যটন বর্ষে দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি উজ্জ্বল প্রমাণ চীনের বিশ্বখ্যাত হারবিন আইস অ্যান্ড স্নো ওয়ার্ল্ডে। আন্তর্জাতিক এ উৎসবে প্যারিসের নটর-ডেম ক্যাথেড্রাল এবং বেইজিংয়ের টেম্পেল অফ হেভেন এ’দুটি বিশ্ব-বিখ্যাত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আলো ছড়াচ্ছে। এখানে দুটি বরফের ভাস্কর্য চীন এবং ফ্রান্সের বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে।