চীনকে বেছে নেওয়া মানে সুযোগ বেছে নেওয়া: সিএমজি সম্পাদকীয়
জানুয়ারি ১৮: “চীনের অর্থনীতি প্রায় ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার বজায় রেখেছে এবং এখনও বিশ্ব অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসাবে বিরাজ করছে। এটি অবশ্যই একটি বড় সুবিধা।” ব্রিটিশ পণ্ডিত মার্টিন জ্যাক সম্প্রতি সিএমজিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে একথা বলেন। গতকাল (বুধবার) চীন-প্রকাশিত ২০২৩ জাতীয় অর্থনৈতিক উপাত্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশাকে নিশ্চিত করেছে।
প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে, সদ্যসমাপ্ত বছরে চীনের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ছিল ১২৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, আগের বছরের তুলনায় যা ৫ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। অর্থনীতি প্রসারিত হয়েছে, মাথাপিছু জিডিপি আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে, শহরে বেকারত্বের হার আগের বছরের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে, স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগ আগের বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ বেড়েছে এবং প্রধান শিল্পপণ্যের উৎপাদন, বিনিয়োগ, আমদানি ও রপ্তানি বেশিরভাগ সূচক ২০১৯ সালের স্তরকে ছাড়িয়ে গেছে। এক উপাত্তে দেখা যায়, চীনের অর্থনীতি সুসংহত হচ্ছে এবং এর পুনরুদ্ধারের প্রবণতা শক্তিশালী হচ্ছে।
গত বছর বিশ্ব অর্থনীতি মন্থর হয়েছে, আন্তর্জাতিক অবস্থা জটিল হয়েছে এবং ঘন ঘন ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত ঘটেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৩ শতাংশ এবং ইউরোপীয় কমিশন ২০২৩ সালে ইউরোজোনের প্রবৃদ্ধি হারের পূর্বাভাস কমিয়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশে এনেছে। অন্যদিকে, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির মধ্যে সর্বোচ্চ।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মোট চাহিদা অপর্যাপ্ত। মুদ্রাস্ফীতি এবং উন্নত দেশগুলোতে আর্থিক নীতির প্রভাবে অনেক দেশে জীবনযাত্রা ও ঋণদানের খরচ বেড়েছে, যা ব্যবহারকে প্রভাবিত করছে। বর্তমানে, বিশ্বব্যাপী চাহিদা মন্থর এবং কিছু দেশে বাণিজ্য সুরক্ষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনের প্রতিবেদনে পূর্বাভাস করা হয়েছে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক পণ্যবাণিজ্যের পরিমাণ ৭ দশমিক ৫শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে চীনের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে এবং চীন টানা সাত বছর ধরে বিশ্বের পণ্যবাণিজ্যে বৃহত্তম দেশ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।