চীনকে বেছে নেওয়া মানে সুযোগ বেছে নেওয়া: সিএমজি সম্পাদকীয়
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চীন এখন শুধু ‘বিশ্বের কারখানা’ নয়, বরং একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবনের উচ্চভূমি।
উদাহরণ হিসাবে রোবটের কথা বলা যায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে মাঝে মাঝে রাস্তায় রোবট চলাফেরা করতে দেখা যায়। তারা মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়। এই পরিষেবা রোবটগুলোর বেশিরভাগই চীনে উত্পাদিত। এটি চীনের উদ্ভাবন ক্ষমতার একটি ক্ষুদ্র দিক মাত্র।
গত কয়েক দিন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ২০২৪-এর বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন এ বিশ্বে ‘বিশ্বাস পুনর্গঠনের’ আহ্বান জানানো হয় বার্ষিক সভায়। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট বোর্জ ব্রেন্ডা বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে চীন দেশগুলোর মধ্যে আস্থা পুনর্গঠনে অবদান রাখতে পারে। বৈশ্বিক বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ নিম্নমুখী চাপের সম্মুখীন হওয়ার প্রেক্ষাপটে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চীনে বিদেশি বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত নতুন ব্যবসায়ী উদ্যোগ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত পাঁচ বছরে চীনে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে লাভের হার ছিল প্রায় ৯ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিকভাবে তুলনামূলকভাবে উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্প্রতি ২০২৪ সালের জন্য চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলছিলেন, চীন অনেক শিল্পে একটি শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে এবং এর অর্থনৈতিক রূপান্তর অগ্রসর হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে অব্যাহত প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।